চট্টগ্রাম 1:35 am, Monday, 9 September 2024

রাঙ্গুনিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার চেষ্টা-হুমকি, যুবকের ৬ মাসের কারাদন্ড ও জরিমানা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আব্বাস হোসাইন আফতাবের ওপর হামলার চেষ্টা ও হুমকির মামলায় এক আসামীকে ৬ মাসের কারাদন্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী রহিম উদ্দিন (২৫) রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড সৈয়দবাড়ি এলাকার ফজলুল কবিরের ছেলে। মামলার চার আসামীর মধ্যে অন্য তিন আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদ এই আদেশ দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। মামলার বাদী আব্বাস একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। মামলার বাদী আব্বাস হোসাইন বলেন,২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর পূর্ব বিরোধের জের ধরে মামলার আসামীরা আমার ওপর হামলার চেষ্টা করে, আমি কোনোমতে নিজেকে রক্ষা করি। পরে স্থানীয় লোকজন আসলে আসামীরা আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এরপর থেকে মামলার প্রধান আসামী রহিম প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি চলাচলের পথে তাঁর সামনে দিয়ে হাঁটলে আমার চোখ তুলে নিবে বলে হুমকি দেয়। পরে চারজনকে বিবাদী করে আমি থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করি। জিডির তদন্তের সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ প্রসিকিউসন দেন আদালতে। এই মামলার জের ধরে আসামী রহিমের বড় ভাই নাজিম উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমি ও আমার পরিবারকে নিয়ে প্রতিনিয়ত কুৎসা রটাচ্ছে। ফেসবুকে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

আমার ছবি দিয়ে একেক সময়ে একেক রকম মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সমাজে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করে চলছে। এই জন্য আমি থানায় জিডি করি । পরে মামলায় যাবো। ” মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিক আব্বাস বলেন, ” ন্যায় বিচার পেয়েছি আমি। বিজ্ঞ আদালত,আইনজীবিসহ মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ”

বাদীর আইনজীবি ও চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দিদার আলম বলেন, ” মামলার সাক্ষী ও দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বিজ্ঞ আদালত এই আদেশ দেন। যুক্তিতর্কের ধার্য্য দিন ও রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। রায় নিয়ে আসামীদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্দ্বীপে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

রাঙ্গুনিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার চেষ্টা-হুমকি, যুবকের ৬ মাসের কারাদন্ড ও জরিমানা

Update Time : 07:09:25 pm, Monday, 15 January 2024

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আব্বাস হোসাইন আফতাবের ওপর হামলার চেষ্টা ও হুমকির মামলায় এক আসামীকে ৬ মাসের কারাদন্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী রহিম উদ্দিন (২৫) রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড সৈয়দবাড়ি এলাকার ফজলুল কবিরের ছেলে। মামলার চার আসামীর মধ্যে অন্য তিন আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদ এই আদেশ দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। মামলার বাদী আব্বাস একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। মামলার বাদী আব্বাস হোসাইন বলেন,২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর পূর্ব বিরোধের জের ধরে মামলার আসামীরা আমার ওপর হামলার চেষ্টা করে, আমি কোনোমতে নিজেকে রক্ষা করি। পরে স্থানীয় লোকজন আসলে আসামীরা আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এরপর থেকে মামলার প্রধান আসামী রহিম প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি চলাচলের পথে তাঁর সামনে দিয়ে হাঁটলে আমার চোখ তুলে নিবে বলে হুমকি দেয়। পরে চারজনকে বিবাদী করে আমি থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করি। জিডির তদন্তের সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ প্রসিকিউসন দেন আদালতে। এই মামলার জের ধরে আসামী রহিমের বড় ভাই নাজিম উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমি ও আমার পরিবারকে নিয়ে প্রতিনিয়ত কুৎসা রটাচ্ছে। ফেসবুকে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

আমার ছবি দিয়ে একেক সময়ে একেক রকম মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সমাজে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করে চলছে। এই জন্য আমি থানায় জিডি করি । পরে মামলায় যাবো। ” মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিক আব্বাস বলেন, ” ন্যায় বিচার পেয়েছি আমি। বিজ্ঞ আদালত,আইনজীবিসহ মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ”

বাদীর আইনজীবি ও চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দিদার আলম বলেন, ” মামলার সাক্ষী ও দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বিজ্ঞ আদালত এই আদেশ দেন। যুক্তিতর্কের ধার্য্য দিন ও রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। রায় নিয়ে আসামীদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।”