চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বুজুর্গ মসজিদ হিসেবে খ্যাত পোমরা খাঁ মসজিদের প্রবেশগেট ও একাধিক দানবক্স ভাংচুর ও দানের টাকা লুটপাট এবং মসজিদ কমিটি নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন মসজিদ প্রাঙ্গনে শুক্রবার (১ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে এবং মুসল্লীদের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি করা হয়। মসজিদ খতিব জরিফ আলী আরমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান জহির আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক আজিজুর রহমান, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সাদ্দাম মেম্বার, দিদারুল আলম সওদাগর, মাসুদ রানা, মঈনুল ইসলাম, নুরুল আমিন কেরানী, সাইফুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, কাজী একরাম উল্লাহ রিপন, নুরুল আজিম মাস্টার, হামিদ শরীদ মেম্বার, আবুল ফয়েজ মেম্বার, মীর আহমদ সওদাগর প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সাদ্দাম মেম্বার। এতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় ৪’শ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী খাঁ মসজিদটি মাটির তৈরি স্থাপনা থেকে অর্ধশত বছর আগে থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহির আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জরাজীর্ণ মসজিদটি বর্তমান আধুনিক অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে দ্বিতল ভবন মসজিদ, সামনে দ্বিতল বিশিষ্ট একটি হেফজখানা ও এতিমখানা, কবরস্থানের ভরাট, বাউন্ডারী করণ এবং একটি ঈদগাঁ নির্মাণ করা হয়। এই উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর সকাল ১১টায় জনৈক মৃত মমতাজুর রহমান ও মৃত আবদুল ছোবহান এর পরিবারের সদস্যগণ সংবদ্ধ দুর্বৃত্তদের সাথে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রহাতে হামলা চালায়। তারা মসজিদের ৫টি দানবক্স ভেঙ্গে টাকা-পয়সা লুট করেন।
এছাড়া মসজিদের মূল কলাপসিপল গেইট ভাঙ্গেন, পেশ ইমাম ও হেফজখানার হাফেজকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ মুসল্লীদের তাঁরা মারধর করে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এই বিষয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুইপক্ষের লোকজনকে সেনাক্যাম্পে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেন। সেনাক্যাম্পে মসজিদ কর্তৃপক্ষ গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করলেও হামলাকারীরা যায়নি। বরং তারা ২৫ অক্টোবর রাতে ফের দেশীয় অস্ত্রহাতে হামলা চালালে মুসল্লীরা এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যান। এই মসজিদ এবং মসজিদ কমিটিকে ঘিরে বর্তমানে এই হামলাকারী চক্র বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
এছাড়া মসজিদ সংক্রান্ত বিষয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম জর্জ কোর্ট ও মহামান্য হাইকোর্টে মামলা চলমান আছে। মসজিদ ভাংচুর এবং লুটপাটে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন সাধারণ মুসল্লীরা।