রাঙ্গুনিয়ার চলাচলের অন্যতম প্রধান মাধ্যম মরিয়মনগর ডিসি সড়ক। এই সড়কের মরিয়মনগর চৌমুহনী থেকে কর্ণফুলী অংশ পর্যন্ত দু’পাশে দখল হয়ে সড়ক সংকুচিত হয়ে গেছে। বিশেষ করে সড়কের ব্যাংক চত্বর অংশে দখল, অবৈধ গাড়ির স্টেশন, ভ্রাম্যমাণ দোকান, সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামাসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে সবসময় যানজট লেগেই থাকতো। দখলদারদের নোটিশ দিয়েও থামানো যাচ্ছিল না। তাই এই সড়কে অবাধ চলাচল নিশ্চিতে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে মরিয়মনগর ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী। সহায়তা করেন রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহাবুব মিল্কি ও মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরুসহ পরিষদের ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশবৃন্দ।
অভিযানে সড়কের দুই পাশের শতাধিক দোকানের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। এছাড়া গাড়ির স্ট্যান্ড সড়িয়ে কর্ণফুলীর পাড়ে স্থানান্তর করা হয়। সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু জানান, এসব অবৈধ দখলদারদের জন্য সাধারণ মানুষ ঠিক মতো চলাচল করতে পারেনা। রাস্তায় সবসময় যানজট লেগেই থাকে। এছাড়া কিছুদিন আগে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ডুকতে পারেনি। এরপর পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের অবৈধ দখলদারিত্ব সরানোর সতর্কতা নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকজন ছাড়া কেউ দখলদারিত্ব ছাড়েনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আতাউল গনি ওসমানী ওসমানী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে দখলে থাকা দোকানদারদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি তাই আজ অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।