রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের নইন্যার বাড়ি এলাকায় ২০০১ সালে স্থাপিত হয়েছে ছোট্ট মসজিদ হযরত খদিজাতুল কোবরা জামে মসজিদ। ৬ বছর ধরে মসজিদটিতে চলমান রয়েছে শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম। কিন্তু মসজিদটির প্রশস্ত খুবই কম হওয়ায় মুসল্লীদের জামায়াতের সহিত নামাজ আদায় এবং গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষার্থীদের বসতে কষ্ট হয়। সে দিক বিবেচনা করে মসজিদের পাশে আবদুল মজিদ, আবদুল আলী, আবদুল গনির দানকৃত জায়গায় নতুন করে মসজিদ সম্প্রসারণের(বারান্দা) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে দীর্ঘদিন পর মসজিদ সম্প্রসারণ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত মুসল্লী ও এলাকাবাসী। কিন্তু সম্প্রসারিত মসজিদ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। নতুন মসজিদ নির্মানের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে বৃত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজ শেষে এর ভিত্তিপ্রস্তর কাজের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহল্লার সর্দার মো. রফিক আহমেদ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল মোনাফ, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল ইসলাম সেলিম, মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হুদা, মাস্টার সেকান্দর, সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর, শাহ আলম, নুরুল ইসলাম পরান, শফিকুল ইসলাম, বুদুরুচ মিয়া ননা, নুরুন্নবী, আবদুল মালেক, মো. সোহেল প্রমুখ।
মসজিদের সাধারণ মুসল্লি মো. আবুল কাশেম জানান, মসজিদের ভেতর জায়গা খুবই ছোট। দীর্ঘদিন পর মসজিদটি সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবার সহযোগিতায় আশা করি দ্রুত মসজিদ সম্প্রসারণের কাজ শেষ হবে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল মোনাফ ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল ইসলাম সেলিম জানান, “মসজিদটি অনেক ছোট। এরমধ্যে গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। সব মিলিয়ে হিমশিম খেতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ সম্প্রসারণের চেষ্টা করেছি, কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে সম্ভব হয়নি। মসজিদের ফান্ডেও তেমন কোন টাকা নেই। তাছাড়া মসজিদটি কোন সরকারী অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় স্থানীয় সাধারন মুসল্লি এবং এলাকার কিছু সংখ্যক ব্যাক্তিবর্গের অনুদানে মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। সমাজের বৃত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে দ্রুত আমাদের এই মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং আমাদের কষ্ট লাগব হবে।”