রমজান মাস শুরুর আগে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিংবা পর্যাপ্ত সময় বেঁধে না দিয়ে হঠাৎ করেই হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করে দেয়ায় একদিকে কয়েক হাজার রিকশা চালক বেকার হয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে, অন্যদিকে পৌর এলাকার জনসাধারণ ও বাসা বাড়ীতে বসবাসরত মানুষ মহা বিপাকে পড়েছে। তারা রিকশার অভাবে বাজার থেকে বাজার করে যথাস্থানে যেতে কিংবা অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে কিংবা ডাক্তার চেম্বারে যেতে অসহনীয় কষ্ট ভোগ করছে। এখন দশ/বিশ টাকার রিকশা ভাড়ার স্থলে ৫০ থেকে ১০০ টাকা সিএনজি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
এদিকে ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ হলে ধীরে ধীরে শত শত প্যাডেল রিকশা চালু হবে এমনটা আশা করা হলেও প্রায় এক মাস গত হলেও রাস্তায় একটিও নতুন প্যাডেল রিকশার দেখা মিলছে না।
জনৈক প্যাডেল রিকশা প্রস্তুতকারীর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, হাটহাজারী পৌর সদরে প্রচুর ব্যাটারী চালিত রিকশা চালু হওয়ার পর প্যাডেল রিকশা গুলোর কদর একদমই কমে গেছে। এগুলোতে সাধারণত যাত্রীরা উঠতেই চায়না। ফলে সেগুলো ধীরে ধীরে জমঘরে চলে যায়। তদুপরি হাটহাজারীতে বেশ কয়েকবার ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার পর পূনরায় চালু করে দেয়া হয়েছিল। ফলে কেউ নতুন প্যাডেল রিকশা তৈরির ঝুঁকি নিচ্ছে না।
বর্তমানে জমঘরে পড়ে থাকা অতীতের কিছু লক্কর ঝক্কর মার্কা প্যাডেল রিকশা রাস্তায় ছুটাছুটি করতে দেখা গেলেও সেগুলোতে ভাড়া যেমন খুব বেশি তেমনি হাতেগুনা কয়েকটি পুরানা রিকশা যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে পারছে না। এসব কারণে পৌরসভা এলাকার জনসাধারণ মহা সংকটে রয়েছে। তবে লুকোচুরি করে স্থানভেদে কিছু কিছু ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়। এ রিকশা সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ জনগন।