বারিয়ারহাট পৌরসভা দিয়েই ফেনীর সঙ্গে রামগড় খাগড়াছড়ির সড়কপথে যাতায়াত। যা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন বেশি। সংগত কারণেই এই রুটে কয়েকগুণ বেড়েছে বাস ট্রাকসহ ছোট পরিবহন। তাছাড়া রামগড় স্থল বন্দর চালু হলে বাড়বে যানবাহনের চাপ। অপর দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফলে গাড়ির চাপ অত্যধিক। বারিয়ারহাট -চট্টগ্রামমুখী চয়েস বাস টার্মিনালে না রেখেই সড়কের ওপরই দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের বাসে ওঠানামা করতে বাধ্য করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের, বাড়ছে ভোগান্তি। এই বাসের কারণে অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হয় তেমনি অপ্রশস্ত সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা।
এই পৌরসভার সড়কে দূরপাল্লার পরিবহন যেমন চলাচল করে তেমনি অভ্যন্তরের ক্ষুদ্র পরিবহনগুলোও চলাচল করে। সড়কটিতে ৪ থেকে ৫ গুণ গাড়ির চাপ বেড়েছে বর্তমানে । অথচ প্রস্থে সংকীর্ণ সড়কটি প্রশস্ত করা হয়নি।
দীর্ঘদিন বারৈয়ারহাট পৌরসভার মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় পাশে রাস্তার উপরে যাত্রীবাহি চয়েজ বাস অবৈধ পার্কিং করিয়া রাখা হতো যাহা মোটেও নিরাপদ ছিল না।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে বারিয়ারহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম খোকন, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন, বিজিবি, পরিবহন মালিক- শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, ওসি জোরারগঞ্জ থানা এবং জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার সম্মিলিত অভিযানে উভয়পাশের অবৈধ পার্কিং করা গাড়ি একটা নির্দিষ্ট স্থানের অস্থায়ী টার্মিনালে স্থায়ী ভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নাশকতা ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
চয়েস বাস চালক সমিতির সভাপতি বিমল চন্দ্র বলেন, টার্মিনালে বাস রাখলে আমরা নিরাপদ থাকি। চয়েস নয় বরং উত্তরা বাসের কারণে যানজট হচ্ছে।
বারিয়ারহাট মেয়র রেজাউল করিম খোকন বলেন, পৌর এলাকার মধ্যে বাস স্টান্ড করে যাত্রী উঠানামা ঠিক নয়। নিদিষ্ট স্থানে চয়েস বাস স্থানান্তরিত হওয়ায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।
জোরারগঞ্জ থানা ওসি জাহেদ হোসেন বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের পাশে থাকতে যানজট মুক্ত থাকা দরকার।
মিরসরাই ইউএনও মাহফুজা জেরিন বলেন, এখন থেকে বারিয়ারহাট পৌর এলাকা যানজট মুক্ত থাকবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।