রাঁঙ্গামাটির ঘাগড়া বাজার থেকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মালামাল ক্রয় করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে হাটহাজারী আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ী হাসানের দাফন সম্পন্ন হযেছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারটার দিকে নিজ গ্রামের মসজিদ মাঠে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা এগারটার দিকে রাঁঙ্গামাটির ঘাগড়া বাজার থেকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মালামাল ক্রয় করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে হাটহাজারী আসার পথে রাউজানের রাবার বাগান এলাকায় তাদের বহনকারী সিএনজিটি উল্টে যায়, এসময় হাসান সিএনজির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে রানিরহাট পরে রাউজান এবং হাটহাজারীর একটি প্রাইভেট হসপিটালে নিয়ে আসলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই ঘটনায় আহত হাসানের সহযাত্রী ওই এলাকার শুক্রর সওদাগর জানান, আমরা সিএনজিতে মালামাল লোড করে হাটহাজারীর দিকে আসার সময় পথি মধ্যে হঠাৎ উল্লেখিত স্থানে আসার পর গাড়িটি উল্টে যায়। এরপর আমার আর কিছুই মনে নাই।
হাটহাজারী পৌর সভা দোকানধার ব্যবসায়ী সমিতি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রতিবেশী মোহাম্মদ আবুল হাসেম সড়ক দুর্ঘটনায় হাটহাজারী পৌরসভার দেওয়াননগরস্থ ১ নং ওয়ার্ডের সুফিয়া বাপের বাড়ির মৃত ইসমাইলের পুত্র হাসানের মৃত্যুর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সবজি বিক্রেতা হাসান সওদাগরের ১২, ৬ এবং ২ বছর বয়সী তিন সন্তানের পিতা ছিলেন। তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে বিভিন্ন ফলমূল, সবজি ক্রয় করে এনে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। হাসানের মৃত্যুতে তার ছোট ছোট তিন বাচ্চার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেলো।
একই ঘটনায় আহত সহযাত্রী শুক্কর সওদাগরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “মালামাল লোড করে আসার পথে সম্ভবত রাবার বাগানের ওদিকে হঠাৎ আমাদের বহনকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি উল্টে যায়। বিকট একটা শব্দ শুনি এরপর আমার কিছুই মনে নেই। পরে জ্ঞান ফিরে আসলে দেখি আমি হাসপাতালে। ”
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান পরিবারের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।