ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সন্দ্বীপ উপজেলার আমন ধানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টিতে রোপা-আমনের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, উপজেলার প্রায় অনেক জমির রোপণকৃত আমন ও ইরি ফসল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। জমিতে হেলে পড়েছে বাড়তে থাকা ফসল।বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় শীতের আগাম সবজিও ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কৃষকরা জানান, মাঠে এখন আমন ধান রয়েছে, এই সময়ে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে রোপা ধান পানিতে হেলে পড়েছে। আর এতে করে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। গতকাল ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ধান চাষ সহ নানান জাতের সবজির চাষ করতে সরেজমিনে সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুড়ে দেখা যায় আমন ধানে ক্ষতি বেশি ক্ষতি হয়েছে। কারণ অতি বৃষ্টিতে ফসলি মাঠে পানি জমে গেছে। সন্দ্বীপ উপজেলার এ বছর আমনের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৯শ ৯২ হেক্টর। ঘূর্ণিঝড় মিধিলি না হলে এ লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে যেত।
হারামিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কৃষক মোস্তফা বলেন, এখন আমন ধানের মৌসুম ধানে ফুল এসেছে। এই সময়ে অতিবৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধানে চিটা ধরে যাবে তাহলে আমাদের ধান যখন ঘরে তোলা হবে তখন ধানের বদলে চিটা বেশি পাওয়া যাবে। বেশি বাতাসে হেলে পড়ে গিয়ে ধান পানিতে ডুবে থাকলে অপূরণীয় ক্ষতি হবে আমনে।
হারামিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের কৃষক জামাল বলেন ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমার দেড় কানি জমির আমন চাষ বাতাসে হেলে পড়ে এখন পানির নিচে এ মৌসুমে পানিতে থান থাকলে ঘরে ধান তেলা যাবেনা আমি চোখে অন্ধকার দেখছি। আমি ঋণ করে এ চাষ করছি।
সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি অফিসার মারুফ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কিছু ধান ও শাক সবজির ক্ষতির খবর পেয়ে আমি বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকের চাষ পরিদর্শন করছি। বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় ধানসহ কৃষির বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এখনও হাতে পাইনি। তবে সন্দ্বীপে এখন মাঠে ১২ হাজার ৯৯২ হেক্টর জমিতে আমন ধান আছে, তার মধ্যে ৫ ভাগ ধান পেকেছে, যেটা কৃষক কর্তন করতেছে, ২০ ভাগ দান আধা পাকা অবস্থায় আছে, এছাড়া ৭৫ ভাগ ধানে ফুল আসা অবস্থায় আছে, ঝড় হাওয়ায় ফুলে চিটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে ৫৩০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতি হতে পারে বলে আমরা আশংকা করছি।