গত ১২ নভেম্বর সন্দ্বীপ উপজেলার আলী মিয়ার বাজারে সাইফুল ইসলাম নামে এক পরিবেশক ব্যবসায়ী তার কর্মচারি রাকিব কে দিয়ে ব্যাংকে ১০ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা পাঠায়। আলী মিয়ার বাজার থেকে একটু উত্তরে গুজুন্না মার্কেটে মোটরসাইকেল করে আসার সময় উৎ পেতে থাকা দুই ছিনতাইকারী টাকা গুলো নিয়ে পালিয়ে যায়, রাকিব তাদের চিনতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম সন্দ্বীপ থানায় ১৩ নভেম্বর তিনজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন , মামলার তিন নম্বর আসামী আলী মিয়ার বাজারের সভাপতি আহসান উল্ল্যহ হাসান কে আগেই গ্রেফতার করা হয়,( অবশ্যই তার গ্রেফতারের প্রতিবাদে আলী মিয়ার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির তাকে নির্দোশ দাবি করে এবং অপরাধীদের শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করে) পরবর্তীতে ১৪ নভেম্বর বাউরিয়া আসামী ডোনারের বোনের বাড়ি থেকে ২ লক্ষ ৬ হাজার ও ত্রিশ হাজার টাকার একটি চেক উদ্ধার করে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ।
১৫ নভেম্বর রাত সাড়ে দশটার দিকে মুছাপুর মান্দির গৌ বাড়ির মোশারফের ঘর থেকে আরো ১ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ, ১৬ নভেম্বর মুছাপুর ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিপন সকাল ১০ টার দিকে চট্টগ্রামের ফয়েজ লেকে ছিনতাইয়ের আসামী ডোনার ও জীবন দেখতে পেলে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিমকে বিষয়টি জানান, পরে রিপন তাদের কে একটি ভবনে ভিতরে আটকে রাখে পুলিশ কে খবর দেয়, এদিকে আবুল খায়ের নাদিম বিষয়টি জেনে মুছাপুর গ্রাম পুলিশ নিয়ে দ্রুত চট্টগ্রাম গিয়ে পুলিশের সহযোগিতার আসামীদের বিকেল তিনটার দিকে সন্দ্বীপ থানায় নিয়ে আসে।
এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জয়নুল আবেদীন জানান আমরা শুরু থেকে এ মামলার বিষয়ে আমাদের চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমাদের অভিযান অব্যহত রাখি এবং দুটি অভিযানে ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান আমরা এ মামলার প্রধান দুই আসামী স্হানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জীবন ও ডোনার কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি তাদের জিজ্ঞেসা বাদ করে বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।