গত ২৭ আগষ্ট ২৩ গভীর রাতে সন্দ্বীপ থানার মুছাপুর ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের মিনার গো বাড়ীর আসাদুল সাহেবের বসতঘরে একটি নৃশংস দস্যুতার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গৃহবধু অন্তঃসত্ত্বা ফারজানা আক্তার মুন্নি (২৬) গুরুতর আহত হন। দুষ্কৃতিকারী এই দুই ডাকাত ভিকটিমকে মুখমন্ডল,মাথা ও হাতে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন।রাতটা ছিল বৃষ্টি মূখর।সাগর ছিল উত্তাল। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভিকটিমের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা সহ চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ মা ও শিশু হাসপাতালে ছুটে যাই। কর্তব্যরত ডাক্তারদের আন্তরিকতা ও অনেকের দোয়ায় মৃত্যু’র হাত হতে বেঁচে ফিরেন ভিকটিম।
পৈশাচিক এ ঘটনায় মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম, এস এম শফিউল্লাহ্, বিপিএম, এর সার্বিক নির্দেশনায় টিম সন্দ্বীপ অপরাধীদের শনাক্তের জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেন।
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সহিত নিবিড় তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তির বিচার বিশ্লেষণে মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা হয়। উদঘাটিত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুইজন আসামী ডাকাত মোঃ হালিম পি; মৃত মোঃ ফরিদ / মোঃ রিয়াদ (৩০) পি; মৃত রিদোয়ান উভয় সাংঃ মুছাপুর ০৯ নং ওয়ার্ড,সন্দ্বীপ,দ্বয় কে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত হতে লুন্ঠিত দুইটি মোবাইল ফোন ও তাদের দেখানো মতে তাদের বসত ঘড়ের মেঝেতে মাটির নিচ থেকে লুকিয়ে রাখা ঘটনায় ব্যবহৃত ছুড়ি ও কাচি উদ্ধার করা হয়। আসামী গন এ ঘটনার দায় স্বীকার করে সেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
গত ২০/২২ দিন যাবৎ সন্দ্বীপ থানার একদল চৌকস কর্মকর্তা তাদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করে, গতকাল রাত থেকে এ অভিযানের সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুল ইসলাম খান নেতৃত্বে এএসআইমোশারফ হোসেন , এএসআই আশেকুর রহমান, এএসআই হুমায়ন কবির। তাদের আটক করে পরে তাদের কোট হাজতে প্রেরন করা হয়।