চট্টগ্রাম 7:21 pm, Thursday, 7 November 2024

সন্দ্বীপে প্রতিবন্ধীকে ঘর উপহার দিলেন সমাজকর্মী মাইনউদ্দীন ভূইয়া

সন্দ্বীপ উপজেলা আমানউল্যা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবন্ধী গোলাপি বেগমের মেয়ে পেয়েছে নতুন ঘর। কিছুদিন আগের জরাজীর্ণ ভাঙা ঘরে অসুস্থ মাকে নিয়ে বসবাস করতেন। বিষয়টি নজরে আসে আমানউল্লাহ ইউনিয়নের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত সমাজকর্মী মাইনউদ্দিন ভূইয়ার। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নিজ্বস্ব অর্থায়নে করে দিয়েছেন নতুন ঘর। এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না অসহায় গোলাপি বেগমের প্রতিবন্ধী মেয়ে কে।

এদিকে ঘর পেয়ে আবেগ গোলাপি বেগমের মেয়ে বলেন, “আগে ঝড়-বৃষ্টি হলে মাকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতাম। এখন আমার নতুন ঘর হয়েছে, নিজের ঘরেই থাকতে পারব।

গোলাপি বেগম বলেন প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। জরাজীর্ণ ঘরে মুরগি ও আমরা একই স্থানে বসবাস করেছি। স্বপ্নেও কল্পনা করিনি যে কখনো নতুন ঘর পাব, এত সুন্দর ঘরে থাকতে পারব। ঘর ও আমদের সংসার খরচের জন্য দশ টাকা পেয়ে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। যতদিন বেঁচে আছি মাইন উদ্দিন ভুইয়ার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া থাকবে।”

এ বিষয়ে সমাজকর্মী মাইন উদ্দিন ভুইয়া বলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী গোলাপির মেয়ে চট ও পলিথিন আর লাকড়ি দিয়ে মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। বিষয়টি জানতে পেরে নতুন ঘর করে দিয়েছি। এই সময় আরো বলেন “আমরা সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি, তাহলে আমাদের সমাজে অবহেলিত কোনো মানুষ থাকবে না। আমাদের সবাইকে সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসা দরকার। আমি শুধু চেষ্টা করি। প্রতিটি মানবিক কাজের জয় হয়।”

ঘর হস্তান্তর উপস্থিত ছিলেন মাইন উদ্দিন ভুইয়ার পিতা হাজী আফলাতুন ভূইয়া।।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্দ্বীপে প্রতিবন্ধীকে ঘর উপহার দিলেন সমাজকর্মী মাইনউদ্দীন ভূইয়া

Update Time : 09:19:48 pm, Friday, 5 April 2024

সন্দ্বীপ উপজেলা আমানউল্যা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবন্ধী গোলাপি বেগমের মেয়ে পেয়েছে নতুন ঘর। কিছুদিন আগের জরাজীর্ণ ভাঙা ঘরে অসুস্থ মাকে নিয়ে বসবাস করতেন। বিষয়টি নজরে আসে আমানউল্লাহ ইউনিয়নের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত সমাজকর্মী মাইনউদ্দিন ভূইয়ার। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নিজ্বস্ব অর্থায়নে করে দিয়েছেন নতুন ঘর। এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না অসহায় গোলাপি বেগমের প্রতিবন্ধী মেয়ে কে।

এদিকে ঘর পেয়ে আবেগ গোলাপি বেগমের মেয়ে বলেন, “আগে ঝড়-বৃষ্টি হলে মাকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতাম। এখন আমার নতুন ঘর হয়েছে, নিজের ঘরেই থাকতে পারব।

গোলাপি বেগম বলেন প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। জরাজীর্ণ ঘরে মুরগি ও আমরা একই স্থানে বসবাস করেছি। স্বপ্নেও কল্পনা করিনি যে কখনো নতুন ঘর পাব, এত সুন্দর ঘরে থাকতে পারব। ঘর ও আমদের সংসার খরচের জন্য দশ টাকা পেয়ে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। যতদিন বেঁচে আছি মাইন উদ্দিন ভুইয়ার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া থাকবে।”

এ বিষয়ে সমাজকর্মী মাইন উদ্দিন ভুইয়া বলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী গোলাপির মেয়ে চট ও পলিথিন আর লাকড়ি দিয়ে মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। বিষয়টি জানতে পেরে নতুন ঘর করে দিয়েছি। এই সময় আরো বলেন “আমরা সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি, তাহলে আমাদের সমাজে অবহেলিত কোনো মানুষ থাকবে না। আমাদের সবাইকে সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসা দরকার। আমি শুধু চেষ্টা করি। প্রতিটি মানবিক কাজের জয় হয়।”

ঘর হস্তান্তর উপস্থিত ছিলেন মাইন উদ্দিন ভুইয়ার পিতা হাজী আফলাতুন ভূইয়া।।