সন্দ্বীপে ২৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তান্ডবে জোয়ারে ভেসে আসা নোয়াখালী জেলা বিভিন্ন স্হান থেকে অনন্ত ছয় থেকে সাতশত মহিষ আসে সারিকাইত ও মগধরা ছোঁয়া খালী হয়ে অনেক মহিষ সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন স্হানে ভেসে যায়। এতে গত পাঁচ দিন যাবৎ দিশেহারা হয়ে যায় মহিষ মালিকেরা বর্তমানে তারা সন্দ্বীপে অবস্থান করে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন হারানো মহিষ ফিরে পাওয়ার জন্য। গতকাল সন্দ্বীপ থানার সামনে কয়েকটি মহিষ মালিকের সাথে কথা হয়
জুয়েল( ৩৩) ভাসারচর থানার আশ্রয়ন থেকে এসেছেন তিনি তার সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করছেন তার ২০৯ টি মহিষ জোয়ারে ভেসে হারিয়ে গেছে যা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
কামাল উদ্দীন( ৩৮) নোয়াখালী সুর্বণচর চরভাটা ইউনিয়ন থেকে এসেছেন তিনি বলেন আমার একচল্লিশ টি মহিষ আমি পাইছি সন্দ্বীপে তিনটি সীতাকুণ্ডে চোদ্দটি এখনো আমার এখনো আমার চব্বিশটি মহিষ পাইনি। মাসুদ নোয়াখালী সুবর্ণচর মোহাম্মদ পুর ইউনিয়ন চরলক্ষী থেকে সন্দ্বীপ এসেছেন তিনি বলেন আমার ষাটটি মহিষ ভেসে সন্দ্বীপ চলে এসেছে আমি তেরটি মহিষ পেয়েছি এখনো আমার সাতচল্লিশ টি মহিষ পাচ্ছি না।
সাইফুর রহমান (৫৫) এসেছেন ভাসানচর থেকে তিনি বলেন আমার সত্তরটি মহিষ ভেসে সন্দ্বীপ চলে যায় আমি সন্দ্বীপে মাত্র ছয়টি মহিষ পেয়েছি আর সীতাকুণ্ড পাঁচ টি মহিষ পেয়েছি এখনো আমার উনষাটটি মহিষ পাচ্ছি না। সেলিম( ৩৪) উড়িরচর থেকে এসে থানায় ঘুরছেন তিনি বলেন আমার সত্তর টি মহিষ সন্দ্বীপে তেইশটি পেয়েছি আর সীতাকুণ্ড পাঁচটি পেয়েছি এখনো আমার বিয়াল্লিশ টি নিখোঁজ।
রবিউল হোসেন (৩৪) এসেছেন কোম্পানিগন্ঞ উপজেলার চর লেংটা থেকে তিনি বলেন আমার একশত বিশ টি মহিষ সিত্রাং এর সময় জোয়ারে ভেসে সন্দ্বীপ চলে যায় আমি এখন পর্যন্ত এগারো টি মহিষ পেয়েছি।
মাইন উদ্দিন( ৩৫) নোয়াখালী জেলার সুর্বণচর উপজেলার পূর্ব চর জব্বার ইউনিয়ন থেকে এসেছেন তিনি বলেন আমার সাতচল্লিশ টি মহিষ হারিয়ে গেছে জোয়ারে আমি সাতটা মহিষ পেয়েছি।
নুর নবী (৪২) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরলক্ষ্মী ইউনিয়ন থেকে এসেছেন তিনি বলেন আমার একশত চৌত্রিশ টি মহিষ জোয়ারে ভেসে যাই আমি মাত্র পাঁচটি মহিষ পেয়েছি সীতাকুণ্ডে পাঁচটি পেয়েছি। এদিকে সীতাকুণ্ড ভেসে যাওয়া শতাধিক মহিষ গুলো স্হানীয় জনপ্রতিনিধি সহ শিপইয়ার্ডের মালিক দের জিম্মায় রাখা হয়েছে তবে মহিষ গুলোর মধ্যে দশটি জবাই ও লুট করে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৮ অক্টোবর বিকেল ৫ টায় মাইটভাংগা চৌধুরী বাজার সাগর কুলে সন্দ্বীপ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মঈনউদ্দীন মালিকদের কাছে ১০৬ টি মহিষ হস্তান্তর করেন।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম বলেন সিত্রাং এর প্রভাবে জোয়ারে ভেসে যাওয়া নোয়াখালী ও উড়িরচরের বিভিন্ন মহিষের মারিক থানাকে অবহিত করার পর আমরা মহিষ গুলো উদ্ধারের সর্বচ্চ চেষ্টা অব্যহত রেখেছি, এর পর ইউএনও মাধ্যমে মহিষ গুলো সনাক্ত করে মালিকদের কাছে ফেরত দেয়া হবে। সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন সিত্রাং এ জোয়ারের সময় ভেসে যাওয়া এ পর্যন্ত ১০৬ টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে সনাক্ত করে আমরা মালিকের কাছে ফেরত দিব।