আগামী রমজানের ঈদের পর এপ্রিল মাসে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষণায় তৎপরতা চালাচ্ছেন সন্দ্বীপ উপজেলার সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা। তবে এবার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকছে না উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। কেন্দ্র থেকে এ ঘোষণা দেয়ার পর অনেকে নড়ে চরে বসেছেন,
ইতোমধ্যেই চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য অনেক প্রার্থীর নাম মুখেমুখে শোনা যাচ্ছে। আবার অনেকেই প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা দিয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যে রয়েছেন সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফোরকান উদ্দীন আহম্মেদ। একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের মাধ্যমে আমার রাজনৈতিক হাতে খড়ি, মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসাবে মুক্তিযুদ্ধাদের সংঘটিত করে অংশ গ্রহন করি।
১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যার পরে সন্দ্বীপে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে থেকে চরম দুঃসময়ে আওয়ামী লীগকে সংঘটিত করতে কাজ করি, বিভিন্ন সময় হামলা মামলার শিকার হয়েছি। ১৯৭৯,১৯৮৬,১৯৯১,১৯৯৬,২০০১,২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য কাজ করি, ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চিপ এজেন্ট ছিলাম, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জেলা প্রশাসনের সাথে সকল নির্বাচনী কার্যক্রমে প্রতিনিধিত্ব করি।
জনাব ফোরকান উদ্দীন আহম্মেদ আরও জানান ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বাড়ি ঘর ছাড়া করে বিএনপি জামাত, বিএনপির এমপির ভাতিজার নেতৃত্ব আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করে, এতে আমি মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলাম, সন্ত্রাসীরা আমার পা ভেঙে চুরমার করে দেয়, যা সকল সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
পরবর্তীতে এ ভাঙ্গা পা নিয়ে ক্রেচে ভর করে তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করি, ২০০১ পরবর্তী সন্দ্বীপে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হয়ে এলাকা থেকে বিতাড়িত হাজার হাজার নেতাকর্মী চট্টগ্রাম শহরে পালিয়ে এসে বছরের পর মানবেতর জীবন কাটিয়েছে, চট্টগ্রাম শহরে আমার মালিকানাধীন হোটেল গোল্ডেন স্টারে পুরো পাঁচ বছর সন্দ্বীপ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অলিখিত কার্যালয় হিসাবে পরিচিত লাভ করে, যা জেলার নেতরা অবগত আছেন।
ওয়ান এলেভেনের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তির জন্য গোপনে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছি। সংগঠনের কর্মসূচিতে জেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সার্বক্ষনিক অংশ গ্রহন করি। আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন যদি দলীয় ভাবে হয় আমি মনোনয়ন চাইবো, এবং দল যে সির্ধান্ত নেয় তা ও মেনে নিব। আর যদি দলীয় ভাবে না হয় তাহলে ও নির্বাচন করবো। তাতে সকালের দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছি। আমি মনে করি ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন আমার যে অভিজ্ঞতা রয়েছে তা কাজে লাগাতে পারবো। আশা করি ২০০৯ সনে সন্দ্বীপ বাসী আমাকে যে রায় দিয়েছে আসন্ন নির্বাচনে ও সে রায় দিবে এ প্রত্যাশা করি।
জনাব ফোরকান উদ্দীন আহম্মেদ রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ড ও জড়িত রয়েছেন, ১৯৯৪ সালে তার পিতা ও মাতার নামে মুছাপুর আলী মিয়ার বাজারে জেবেননুর সুলতান উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সাল থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ২০০২ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সিনিয়র সহ সভাপতি সেক্টর কমান্ডার ফোরাম চট্টগ্রাম জেলা, উপদেষ্ঠা মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম চট্টগ্রাম, আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা, মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চট্টগ্রাম, লায়ন্স জেনারেল হাসপাতাল চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম, ও সন্দ্বীপ এডুকেশন সোসাইটি চট্টগ্রামের দায়িত্ব পালন করছেন।