তরুণ নাট্যকার ইসমাঈল হোসেনের রাজনীতির পেক্ষাপটে লেখা “বড় ভাইদের রাজনীতি” নাটিকাটি দর্শকনন্দিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় রাজনীতির পেক্ষাপটে আবারো লিখেছেন “মুখোশ” নামে গল্প। দেড় বছর আগে ১৮মিনিটের এ নাটিকাটির প্রথম পর্ব পাবলিশ হয়েছিল। নাটিকাটি প্রচার হওয়ার পরপরই দ্রুত মিলিয়ন ভিউ’র মাইলফলক স্পর্শ করে। তবে নাটকটি সমাজের মুখোশধারী রাজনীতিবীদদের মুখোশ উম্মোচন নিয়ে আবর্তিত হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তরুণ এই নাট্যকারের। মুখোশ এর ব্যাপক দর্শক চাহিদা থাকা সত্বেও পার্ট ২ বের করেননি তিনি। তবে সম্প্রতি “মুখোশ-২” এর গল্প নিয়ে হাজির হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
ইসমাঈল হোসেন জানান, সম্পূর্ণ রাজনীতির খারাপ এবং সে সময়ে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে চাটগা ভাষার জনপ্রিয় চ্যানেল “সিপ্লাস টিভি”তে মুখোশ পার্ট ১ রিলিজ হয়েছিল। পুরো ভিডিওর স্পন্সর ছিল “রবি”। তবে ভিডিওটি দর্শকনন্দিত হলেও রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রেসারে পড়েছিলাম। দর্শক মুখোশ -২ দিয়ে চলমান রাজনৈতি তুলে ধরার কথা জানিয়েছিলেন, কিন্তু আমরা আর কাজ করিনি। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। আশা করছি শীঘ্রই আমি আমার টিম নিয়ে মুখোশ-২ নামে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই নাটিকা আবার লিখবো। তবে বিষয়টি এত সহজ হবে না। আসলে অনেকেই জমিয়ে গল্প বলতে পারে। আসর মাতিয়ে তোলে তারা কথার ফুলঝুরি ছুটিয়ে। কিন্তু জমিয়ে গল্প বলা এক জিনিস, আর গল্প লেখা আরেক। গল্প লেখা মানে গল্প তৈরি করা। কাহিনি বানানো। সেটা একেবারে ভিন্ন ধরনের কাজ।
তিনি আরো বলেন, আমি বেশ কিছু গল্প লিখে নাটিকা বানিয়েছিলাম। আমি সবসময় গল্প লিখে একজন অপরিচিত পাঠকের চোখ দিয়ে পড়তাম। অনেকটা দাবা খেলার মতো—আমি একটা চাল দিচ্ছি, দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড় আমার এই চাল নিয়ে কী ভাবছে, পুরো খেলাটা সে কীভাবে দেখছে সেটা ভেবেই গল্প বানাতাম। এবারও বর্তমান এবং অতীত রাজনীতির পেক্ষাপট ভালো করে রপ্ত করে গল্প লিখা হবে। সব ধরনের কলাকৌশল থাকবে।
চাটগাঁ ভাষায় করা মুখোশ পার্ট ১ এ অভিনয় করেছিলেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. দিলদার, রবি আজিয়াটা লিমিটেড অফিসার মীর লোকমান হাকীম, সাংবাদিক জগলুল হুদা, সিপ্লাস টিভির সায়েম মোহাম্মদ, ইসমাঈল হোসেন, উত্তর রাঙ্গুনিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রফেসর মো. ইকবাল হোসেন, চট্টগ্রামের অন্যতম নাট্যকার মো. শরীফ, জুনায়েদ হোসেন রিফাত, মো. আলমগীর হোসেন, সিমি রহমান, সুমাইয়া জাহান তন্নী, আবদুর রহিম, ব্যাংকার তৌহিদুল ইসলাম, মুহিদুল ইসলাম, তৌহিদ, মো. হেলাল, আরফাতুল ইসলাম স্বপ্নীল, মহি উদিন ফাহিমসহ কর্ণফুলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এই গল্পের শ্যূটিং হয়েছে কাপ্তাই এবং চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায়।