বৈশ্বিক মহামারি করোনার থাবায় দীর্ঘদিন ঘরকুনো করে রেখেছিল কোমলমতি শিশুদের যা তাদের পাঠদান ও মেধাবিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অনলাইন ক্লাস চালু করে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করেছিলো।কিন্তু তা ক্লাসে পাঠদানের মত প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে অভিযোগ অবিভাবকদের। কারন তখন অবিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মহামারি করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজমান ছিলো। করোনার বন্ধের পর আবার নতুন উদ্দোমে নিয়মিত ক্লাস শুরু হলে অবিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয় পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার। যার ফলাফল জানা যাবে বার্ষিক পরীক্ষার পর।
অন্যান্য বিদ্যালয়ের ন্যায় আজ বুধবার (২৩-নভেম্বর)-শুরু হলো এভারগ্রীণ কে-জি স্কুলেরও বার্ষিক পরীক্ষা। সকাল ১১-১৫মিনিট থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ১.৪৫মিনিটে। প্লে-নার্সারী ও ১ম শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহন করছে। এবং সকল শ্রেনীর পরীক্ষা শেষ হবে ৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে।
এভারগ্রীন কে-জি স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে অবিভাবক জাবেদ সিকদার বলেন, আমার ছেলে সাওয়াদ প্লে-তে পড়ে, অতি যত্নসহকারে শিক্ষক- শিক্ষিকারা আদর দিয়ে পড়া বুঝিয়েদেন। এবং আমার দেখা মতো প্রতিবছর রেজাল্ট ভালো করে এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। আমি সকল শিক্ষক,শিক্ষিকার জন্য মন থেকে দোয়া করি।
আরেক অবিভাবক নাহিদা বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য বার্ষিক বনভোজন ও বার্ষিক খেলাধুলার আয়োজন করেন এ বিদ্যালয়, যা আমার কাছে অন্য বিদ্যালয়ের চেয়েও আলাদা বাড়তি কিছু মনে হয়। এতে বাচ্চাদের পাঠদানে উৎসাহ যোগায়।
নাহিদা আরও বলেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা খুবই আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমাম উদ্দীন বলেন, সীতাকুণ্ডের সকল কিন্ডারগার্টেন এর মধ্যে এভারগ্রীণ কে-জি স্কুল একটু ব্যাতিক্রম। আমার বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচুর পরিমান পাঠদানের প্রতি সচেষ্ট থাকে সবসময়, এবং কোমলমতি শিশুদের মাতৃস্নেহে পাঠদান করে থাকেন।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সকল শ্রেনীতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ১লা ডিসেম্বর থেকে।