চট্টগ্রাম 6:24 pm, Wednesday, 4 December 2024

সীতাকুণ্ডে ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী, একজনের মৃত্যু 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগের আতংকে রয়েছে, অনেক ঘরে ৪/৫ জনও এই রোগে ভোগছে, এক গৃহবধুর মৃর্ত্যু ঘটেছে।এখনো ৪০ জন এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটস্হ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট এন্ড ট্রপিক্যাল ইনফেকশন ডিজিজেস ( বি আই টি আই ডি) হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রসিদ প্রতিনিধি কে জানান, হঠাৎ করে ডেঙ্গু আলামত নিয়ে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে,প্রতিদিন ১০/১২ জন রোগী ভর্তিহচ্ছে,আমাদের এখানে, সিট সংখ্যা সীমিত বিধায় অতিরিক্ত রোগী গুলো নগরীর চমেক ও মা ও শিশু হাসপাতালে রেফার করে থাকি।বর্তমানে এই হাসপাতালে ৪০ জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছে।বাকিগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

তিনি আরো জানান,সীতাকুণ্ডের কুমিরা, দক্ষিন সোনাইছড়ি,ভাটিয়ারী ও সলিমপুরে ইউনিয়ন সহ নগরীর সিটি গেইট,কর্নেলহাট,আকরবশাহ কলোনী,বিম্ব কলোনী এর বিভিন্ন এলাকার রোগী বেশী,সোনাইছড়ির একগ্রামেই এযাবত অর্ধশতাধিক ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের প্রকৌশলী সোনাইছড়ির বাসিন্দা পলাশ দেব জানায়,তার পরিবারের পাঁচজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে,এমন আরো অনেক পরিবারই রয়েছে তার এলাকার এই রোগে আক্রান্ত।

সীতাকুণ্ড স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নুর উদ্দিন রাসেদ প্রতিনিধি কে জানায়,দক্ষিন সীতাকুণ্ডে গত দুসপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য সচেতনামূলক পরামর্শ দিচ্ছি,ডেঙ্গু রোগ থেকে নিরাপদে থাকার উপদেশ দিয়ে আসছি। পাড়ায় পাড়ায় উঠান বৈঠক করে ডেঙু রোগ ছড়ায় এডিস মশার জন্ম, উৎপত্তি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা জ্বর,গায়ে ব্যাথা,চোখ লাল,অনেকের পাতলা পায়খানা,সহ নানান সমস্যায় ভূগেন। রক্ত পরিক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্নয় করে চিকিৎসা প্রদান করে থাকি।

দক্ষিন সোনাইছড়ি গ্রামের রঞ্জিত কুমার নাথ প্রতিনিধি কে জানায়, তার স্ত্রী টুম্পা রানী নাথ (৩২) প্রচন্ড জ্বরে ভোগছিলেন,তাকে ফৌজদারহাটস্হ বি আই টি আই ডি হাসপাতালে নিয়ে যাই গত সোমবারে,কর্তব্যরত ডাক্তার রক্ত পরিক্ষা করে ডেঙ্গু রোগের আলামত পায়,তবে কিছুটা নরমাল আছে বলে ঔষধ লেখে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন,বাড়িতে এনে ঔষধ খাওয়ানোর পরও গত বৃহশপতিবার তার স্ত্রীর অবস্হা খুবই খারাপ দেখা দিলে
নগরীর আগ্রাবাদস্হ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই,সেখানে গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে তার স্ত্রী মৃর্ত্যুবরন করেন।তার অভিযোগ,টুম্পা হাসপাতাল ভর্তি থাকলে হয়তো মৃরাত্যু হতোনা, রোগীর অবস্হা খারাপ থাকা সত্বেও ডাক্তার কেন বাড়িতে নিয়ে যেতে বললো।সিট না থাকলেও মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতাম। তার মুর্ত্যুতে সীতাকুণ্ডে ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কাপ্তাই সেনা জোনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

সীতাকুণ্ডে ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী, একজনের মৃত্যু 

Update Time : 11:52:40 pm, Saturday, 15 July 2023

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগের আতংকে রয়েছে, অনেক ঘরে ৪/৫ জনও এই রোগে ভোগছে, এক গৃহবধুর মৃর্ত্যু ঘটেছে।এখনো ৪০ জন এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটস্হ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট এন্ড ট্রপিক্যাল ইনফেকশন ডিজিজেস ( বি আই টি আই ডি) হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রসিদ প্রতিনিধি কে জানান, হঠাৎ করে ডেঙ্গু আলামত নিয়ে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে,প্রতিদিন ১০/১২ জন রোগী ভর্তিহচ্ছে,আমাদের এখানে, সিট সংখ্যা সীমিত বিধায় অতিরিক্ত রোগী গুলো নগরীর চমেক ও মা ও শিশু হাসপাতালে রেফার করে থাকি।বর্তমানে এই হাসপাতালে ৪০ জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছে।বাকিগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

তিনি আরো জানান,সীতাকুণ্ডের কুমিরা, দক্ষিন সোনাইছড়ি,ভাটিয়ারী ও সলিমপুরে ইউনিয়ন সহ নগরীর সিটি গেইট,কর্নেলহাট,আকরবশাহ কলোনী,বিম্ব কলোনী এর বিভিন্ন এলাকার রোগী বেশী,সোনাইছড়ির একগ্রামেই এযাবত অর্ধশতাধিক ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের প্রকৌশলী সোনাইছড়ির বাসিন্দা পলাশ দেব জানায়,তার পরিবারের পাঁচজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে,এমন আরো অনেক পরিবারই রয়েছে তার এলাকার এই রোগে আক্রান্ত।

সীতাকুণ্ড স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নুর উদ্দিন রাসেদ প্রতিনিধি কে জানায়,দক্ষিন সীতাকুণ্ডে গত দুসপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য সচেতনামূলক পরামর্শ দিচ্ছি,ডেঙ্গু রোগ থেকে নিরাপদে থাকার উপদেশ দিয়ে আসছি। পাড়ায় পাড়ায় উঠান বৈঠক করে ডেঙু রোগ ছড়ায় এডিস মশার জন্ম, উৎপত্তি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা জ্বর,গায়ে ব্যাথা,চোখ লাল,অনেকের পাতলা পায়খানা,সহ নানান সমস্যায় ভূগেন। রক্ত পরিক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্নয় করে চিকিৎসা প্রদান করে থাকি।

দক্ষিন সোনাইছড়ি গ্রামের রঞ্জিত কুমার নাথ প্রতিনিধি কে জানায়, তার স্ত্রী টুম্পা রানী নাথ (৩২) প্রচন্ড জ্বরে ভোগছিলেন,তাকে ফৌজদারহাটস্হ বি আই টি আই ডি হাসপাতালে নিয়ে যাই গত সোমবারে,কর্তব্যরত ডাক্তার রক্ত পরিক্ষা করে ডেঙ্গু রোগের আলামত পায়,তবে কিছুটা নরমাল আছে বলে ঔষধ লেখে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন,বাড়িতে এনে ঔষধ খাওয়ানোর পরও গত বৃহশপতিবার তার স্ত্রীর অবস্হা খুবই খারাপ দেখা দিলে
নগরীর আগ্রাবাদস্হ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই,সেখানে গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে তার স্ত্রী মৃর্ত্যুবরন করেন।তার অভিযোগ,টুম্পা হাসপাতাল ভর্তি থাকলে হয়তো মৃরাত্যু হতোনা, রোগীর অবস্হা খারাপ থাকা সত্বেও ডাক্তার কেন বাড়িতে নিয়ে যেতে বললো।সিট না থাকলেও মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতাম। তার মুর্ত্যুতে সীতাকুণ্ডে ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।