হাটহাজারীতে মেহেরুন্নেছা (২১) নামে এক গৃহবধূ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১ টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার ৪নং ওয়াডস্থ আলীপুর এলাকার হাজী কবির আহম্মদ বাড়ীর ভিকটিমের বসতঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।নিহত মেহেরুন্নেছা ওই গ্রামের বশিরের পুত্র প্রবাসী মনজুর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার প্রবাসী মনজুর সাথে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ৪নং ওযার্ডস্থ লাল মিয়া মিস্ত্রীর বাড়ীর আবদুল কাদেরের মেয়ে মেহেরুন্নেছার সাথে গত বছরের অক্টোবর মাসে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছুটি শেষে মনজু পুনরায় দেড় মাস পূর্বে বিদেশে নিজ কর্মস্থলে ফিরে যায়। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিলো। মঙ্গলবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার শেষ করে নিজের রুমে ঘুমাতে যায় ওই গৃহবধূ। বুধবার সকালে পরিবারের সবাই ঘুম থেকে উঠে যে যার কাজে চলে যায়।
এদিকে বেলা দশটা পেরিয়ে গেলেও গৃহবধূ মেহেরুন্নেচ্ছা তার শয়ন কক্ষের রুম না খোলায় পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থা তার দেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
এদিকে নিহতের পরিবারের দাবী যৌতুকের জন্য দেবর, ননদ ও শাশুড়ী গৃহবধূ মেরুন্নেচ্ছাকে স্বামী বিদেশ যাবার পর থেকে বিভিন্ন সময় মানসিক নির্যাতন করতো। তারাই তাদের মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। আমরা এ ঘটনায় মডেল থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে ।
জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলি আকবর বলেন, আমরা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন কে আটক করা হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বুধবার বেলা দুইটার দিকে এ প্রতিবেদক কে জানান, এটা আত্নহত্যার ঘটনা। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসলে এ ব্যাপারে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হবে।