চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ৮নং মেখল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডস্থ মেখল ফকিরহাট বাজারের পূর্ব পাশে তালুকদার বাড়ি সংলগ্ন মেখল আজিজিয়া মজিদিয়া সড়কের পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি মাঝখানে ভেঙে বছরের পর বছর ধরে ঝূকিপূর্নভাবে তারের সঙ্গে আটকে হেলে পড়ে আছে। ব্যস্ততম এলাকায় এই ঝুঁকিপুর্ন বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেংগে পড়ে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আতংকে আছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্যস্ততম সড়কটি হাটহাজারীর সদরের সাথে মাদার্শা, গড়দুয়ারার, রাউজানের উপজেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে হাটহাজারী বিদ্যুৎ ও বিতরণ বিভাগের এই খুঁটিটি মেরামতের জন্য বার বার বলা হলেও খুঁটিটি মেরামত বা সরানোর ব্যবস্থা করেনি যথাযথ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা লোকজন জানান, বছরের পর বছর ধরে এই খুঁটিটি ঝুঁকিপুর্ন অবস্থায় রয়েছে। তখন বার বার মৌখিকভাবে তাদের বলে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে খুঁটিটি পরিবর্তনের জন্য ৪/৫ বছর পূর্বে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা তুলে (হাতখরচ) দেওয়ার পর পিডিবি কর্তৃপক্ষ পাশে একটি বিকল্প খুঁটি স্থাপন করে। তবে অজানা কারনে ঝুকিপূর্ণ খুঁটির বৈদ্যুতিক তারগুলো নতুন খুঁটিতে স্থানান্তর করা হচ্ছেনা।পুনরায় (চা নাস্তার খরচ) এর জন্যই এই কাজের অগ্রগতি হচ্ছেনা এমন দাবী স্থানীয়দের। ঝুঁকিপূর্ণভাবে হেলে পড়া ওই খুঁটিটি যে কোনো মূহুর্তে ধসে পড়ে বড় ধরনের প্রানহানির ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে এলাকাবাসী এবং এই রোড দিয়ে চলাচল করা জনসাধারণ ও স্কুল-কলেজে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
এদিকে খুঁটিটির পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা এ প্রতিবেদক কে জানান, কখন না খুঁটিটা ভেঙে আমাদের গায়ের উপর পড়ে এই শঙ্কায় একটু বাতাস করলেই বুক ধড়ফড় করে। হাটহাজারী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিছার বলেন, বাসা থেকে বের হলেই দোয়া পড়ে ওই খুঁটির দিকে দৃষ্টি রেখে স্থানটি পার হতে হয়। সব সময় খুব আতষ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে আমাদের। ওই খুঁটির পাশ্ববর্তী দোকানদার সেলিম সওদাগর বলেন, খুঁটিটার অবস্থা খুবই নাজুক। একটু জোরে বাতাস এলেই দুলতে থাকে। খুব আতংকের মধ্যে আছি আমরাও। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পিডিবি কর্তৃপক্ষের হেয়ালিপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে হেলে পড়া ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিটি বছরের পর বছর ধরেও মেরামত করা হচ্ছে না। তবে যদি তাদেরকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে আসা হতো, তাহলে হয়তো পরের দিনই খুঁটিটি তারা মেরামত করতেন। কারণ তারা টাকা ছাড়া আর কিছুই বুঝে না। প্রতিদিন স্কুল- কলেজের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী শিশু-কিশোর এ রোড দিয়ে চলাচল করে থাকে। যদি কোনো অঘটন ঘটে যায় তাহলে কিন্তু এর দায়ভার পিডিবি কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে বলে জানান ওই এলাকার সচেতন মহল। স্থানীয় সচেতন মহলের পক্ষে ব্যবসায়ী মো. কুতুবউদ্দিন, কোনো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার পূর্বেই মেখল ইউনিয়ন পরিষদের নিকটবর্ত্তী স্থানে বিপদ সংকুল বিষয়টির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন চৌধুরী এ প্রতিবেদক কে জানান, আমি বিষয়টি নিযে পিডিবি অফিসে কথা বলবো।
পিডিবির হাটহাজারী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “গত দুই বছর ধরে আমি এখানে দায়িত্বে আছি। কেউ বিষয়টি আমাকে জানাননি। আপনার মাধ্যমে আজকেই জানলাম। আমি এ ব্যাপারে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.শাহিদুল আলমের দৃস্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, আমি এ ব্যাপারে পিডিবির হাটহাজারী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলবো। এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি।