হাটহাজারীতে ধর্ষণ মামলায় মো.মাসুম(২৩) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক কে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার(১৪ জানুয়ারী) বিকাল ৩ টার দিকে হাটহাজারী মডেল থানা কর্তৃপক্ষ আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার ১৩ জানুয়ারী বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ‘আল কুরআন নুরানী একাডেমী ও হেফজখানা’ মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
আটকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক মো.মাসুম পঞ্চগড় জেলার বোদা থানাধীন বাকপুর গ্রামস্থ তাসের পাড়ার মো. রফিকুল ইসলামের পুত্র।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হাটহাজারীর বুড়িশ্চর ইউনিয়নের মধ্যম বুড়িশ্চর এলাকার “আল কুরআন নুরানী একাডেমী ও হেফজখানার আবাসিক শিশু শিক্ষার্থী ভিকটিম ছদ্ম নাম নায়েব (১৩) সহ অন্যান্য ছাত্রদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই মাদ্রাসার অভিযুক্ত শিক্ষক মো.মাসুম বাজে আচরন ও যৌন হয়রানি করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন গত ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর শনিবার আনুমানিক রাত ১ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে সু-কৌশলে উল্লিখিত মাদ্রাসার চারতলায় আসামির শয়ন কক্ষে নিয়ে জোর পূর্বক বলৎকার করে। পরে ঘটনা জানাজানি হলে ভিকটিমের পিতা হাটহাজারী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)৯(১) ধারায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ১৩, তাং-১৩/০১/২০২৩ইং। মামলা দায়েরের পর হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.রুহুল আমিন সবুজের দিক নির্দেশনায় ওইদিন বিকালেই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো.মাসুম কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
শনিবার বিকাল তিনটার দিকে ভিকটিমের পিতা জমির হোসেন এ প্রতিবেদ কে জানান, ‘বর্তমানে আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার বাচ্চার চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছি। এর পর কোর্টে যাবো। ওই লম্পট শিক্ষক আমার ছেলে ছাড়াও ওই মাদ্রাসার অন্য এক ছাত্রকে বলাৎকার করেছিলো। আমি লম্পট শিক্ষক মাসুমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ‘
জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.রুহুল আমিন সবুজ আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত কে শনিবার দুপুরের দিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।