চট্টগ্রাম 1:30 am, Monday, 9 September 2024
অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

হাটহাজারীতে পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়, প্রশাসন নিরব

হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ইসলামিয়া হাট এলাকা থেকে গত সোমবার ইছাপুর ফয়জিয়া বাজারে কোরবানির গরু কিনতে যাওয়া হাবিবুর রহমান ৯০ হাজার টাকায় একটি গরু কেনার পর তার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা হাসিল নেয়া হয়।অ তিরিক্ত হাসিল আদায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো ইজারাদারদের হমকির মুখে পড়েন তিনি। এমন ঘটনা শুধু ইছাপুর ফয়জিয়া বাজারে নয়, ঘটছে হাটহাজারী বাজার, মিরেরহাটসহ প্রায় বাজারে, অভিযোগ বাজারে আসা ক্রেতাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি হাটে হাসিল আদায়ের তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোনো হাটেই ওই তালিকা টাঙানো হয়নি। অথচ হাটহাজারী গরুর বাজারে একটি গরু কিনলে হাসিল দিতে হচ্ছে ১০০০ টাকা, আর প্রতিটি ছাগলের হাসিল ৫০০ টাকা। সোমবার সকালের দিকে মিরেরহাট গরুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ওখানে প্রতি গরু হাসিল নিচ্ছে ১২০০ টাকা আর ছাগল ৬০০ টাকা।

এদিকে সোমবার রাতে উপজেলার ইছাপুর ফয়জিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় ইজারাদাররা মাইকে প্রচার করছেন তারা সরকারি ভাবে নির্ধারন করে দেয়া গরু প্রতি হাসিল ১৫০০ টাকা এবং ছাগল প্রতি ১০০০ টাকা হাসিল নিচ্ছেন।

এ বাজারে কোরবানির গরু কিনতে আসা ক্রেতা সেলিম চৌধুরী বলেন, আমি যদি ভুল না করি তবে এবার সরকার প্রতি গরুতে ৬ শ টাকা এবং প্রতি ছাগলে ১৬০ টাকা নির্ধারন করে দিয়েছেন। অথচ তারা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ইচ্ছে মতো হাসিল আদায় করছে। তারা ছাগল বিক্রিতেও হাসিল নিচ্ছে ১০০০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকারিভাবে গরু-ছাগলের হাসিল যতই বাড়ছে ততই যেনো বৃদ্ধি পাচ্ছে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অবৈধ প্রক্রিয়া।

গরু প্রতি ১৫০০ এবং ছাগল প্রতি ১০০০ টাকা হাসিল নেয়ার বিষয়ে ইছাপুর ফয়জিয়া বাজার ইজারাদার কর্তৃপক্ষের কাছে সোমবার রাতে সরকার নির্ধারিত চার্ট বা নির্দেশনা দেখতে চাইলেও তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হন। উপজেলার ইছাপুর ফয়জিয়া বাজার, হাটহাজারী গরুর বাজার এবং মিরেরহাট বাজারসহ প্রায় বাজারে কোরবানির গরু ছাগল বেচা কেনায় প্রকাশ্যে এমন অনিয়ম চললেও বিষয়টি জেনে শুনেও উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকায় রয়েছেন, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তারা গলাকাটা অতিরিক্ত হাসিল আদায়কারী এবং সরকার নির্ধারিত চার্ট না টাঙ্গানো বাজার ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার জোর দাবী জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্দ্বীপে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

হাটহাজারীতে পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়, প্রশাসন নিরব

Update Time : 10:19:33 pm, Tuesday, 27 June 2023

হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ইসলামিয়া হাট এলাকা থেকে গত সোমবার ইছাপুর ফয়জিয়া বাজারে কোরবানির গরু কিনতে যাওয়া হাবিবুর রহমান ৯০ হাজার টাকায় একটি গরু কেনার পর তার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা হাসিল নেয়া হয়।অ তিরিক্ত হাসিল আদায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো ইজারাদারদের হমকির মুখে পড়েন তিনি। এমন ঘটনা শুধু ইছাপুর ফয়জিয়া বাজারে নয়, ঘটছে হাটহাজারী বাজার, মিরেরহাটসহ প্রায় বাজারে, অভিযোগ বাজারে আসা ক্রেতাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি হাটে হাসিল আদায়ের তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোনো হাটেই ওই তালিকা টাঙানো হয়নি। অথচ হাটহাজারী গরুর বাজারে একটি গরু কিনলে হাসিল দিতে হচ্ছে ১০০০ টাকা, আর প্রতিটি ছাগলের হাসিল ৫০০ টাকা। সোমবার সকালের দিকে মিরেরহাট গরুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ওখানে প্রতি গরু হাসিল নিচ্ছে ১২০০ টাকা আর ছাগল ৬০০ টাকা।

এদিকে সোমবার রাতে উপজেলার ইছাপুর ফয়জিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় ইজারাদাররা মাইকে প্রচার করছেন তারা সরকারি ভাবে নির্ধারন করে দেয়া গরু প্রতি হাসিল ১৫০০ টাকা এবং ছাগল প্রতি ১০০০ টাকা হাসিল নিচ্ছেন।

এ বাজারে কোরবানির গরু কিনতে আসা ক্রেতা সেলিম চৌধুরী বলেন, আমি যদি ভুল না করি তবে এবার সরকার প্রতি গরুতে ৬ শ টাকা এবং প্রতি ছাগলে ১৬০ টাকা নির্ধারন করে দিয়েছেন। অথচ তারা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ইচ্ছে মতো হাসিল আদায় করছে। তারা ছাগল বিক্রিতেও হাসিল নিচ্ছে ১০০০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকারিভাবে গরু-ছাগলের হাসিল যতই বাড়ছে ততই যেনো বৃদ্ধি পাচ্ছে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অবৈধ প্রক্রিয়া।

গরু প্রতি ১৫০০ এবং ছাগল প্রতি ১০০০ টাকা হাসিল নেয়ার বিষয়ে ইছাপুর ফয়জিয়া বাজার ইজারাদার কর্তৃপক্ষের কাছে সোমবার রাতে সরকার নির্ধারিত চার্ট বা নির্দেশনা দেখতে চাইলেও তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হন। উপজেলার ইছাপুর ফয়জিয়া বাজার, হাটহাজারী গরুর বাজার এবং মিরেরহাট বাজারসহ প্রায় বাজারে কোরবানির গরু ছাগল বেচা কেনায় প্রকাশ্যে এমন অনিয়ম চললেও বিষয়টি জেনে শুনেও উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকায় রয়েছেন, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তারা গলাকাটা অতিরিক্ত হাসিল আদায়কারী এবং সরকার নির্ধারিত চার্ট না টাঙ্গানো বাজার ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার জোর দাবী জানিয়েছেন।