হাটহাজারীতে এবার ইট বোঝাই ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনন্ত ১৫ /১৬ জন আহত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এদের মধ্যে বাস চালককে আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নস্থ চারিয়া মূসার দোকান সংলগ্ন জনতা কনভেনশন সেন্টারের সামনে হাটহাজারী -নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জনতা কনভেনশন সেন্টারের মালিক আকবর, গাজি মো.আজিজসহ বেশ কযেকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল আনুমানিক ১১ টা ১৫/২০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলের পশ্চিমদিকের ইটভাটা থেকে ইট বোঝাকৃত একটি ট্রাক (চট্টমেট্টো ট ১১-০৫৪৬) হাটহাজারী -নাজিরহাট মহাসড়কে উঠার সময় নগরী থেকে ছেড়ে আসা নাজিরহাটমুখী দ্রুতগতির খাগড়াছড়ি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস (চট্ট মেট্টো জ ১১-১০১৩) ট্রাকের পশে সজোরে আঘাত করে। এসময বাসের সামনে কিছু অংশ দুমড়েমুচড়ে ট্রাকের নিচে ঢুকে বাসের চালক আসনে বসা অবস্থায় আটকা পড়ে যায়। এ ঘটনায় বাসের অন্তত ১৫/১৬ জন যাত্রী কম বেশি আহত হয়েছে। ঘটনার পর পর আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন ফার্মেসী ও প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । পরে চালকের আসনে আটকা পড়া বাস চালককে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এদিকে ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়। দূর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে কুলছুমা বিবি (৭০), ফারুক (৩০), পিয়ারু (২৩), রোকেয়া (৫০) নামের ৪ জনকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, ট্রাকের চাকলের উচিত ছিলো মুল সড়কে উঠার আগে উভয় পাশে ক্লিয়ার আছে কিনা দেখে মুল সড়কে উঠা। আর যেহেতু ট্রাকটা মুল সড়কে প্রায় উঠে গিয়েছিলো তাই বাস চালকেরও ট্রাকটিকে তার লাইনে আসার সুযোগ দেয়া। তারা এ সড়কে দিন দিন দূর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত ১৫ দিনে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭/৮ টা দূর্ঘটনা ঘটেছে।এর মধ্যে চারিয়া ইজতেমা মাঠের সামনে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ সদস্য নিহত হয়েছিলো। এ সড়কের দূর্ঘটনা বন্ধে বন্ধে অবিলম্বে সড়ক বিভাজক ডিভাইডার দেয়ার জোর দাবীও জানান তারা।
ঘটনাস্থলে থানা হাইওয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক আনিস প্রতিবেদক কে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে উভয় চালকই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। ঘটনা তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:রশ্মি চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদক কে জানান, হাসপাতালে আসাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় এবং তাদের মধ্যে কুলছুমা বিবি (৭০) এবং বাস চালকের (অজ্ঞাত) আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।