হাটহাজারীতে বাস ও হাইসের (মাইক্রোবাস) সংর্ঘষে জাহেদ ( ২৩),শাহিদুল (১৩), পংকজ (৪০), নুর জাহান (৫৫),বাহাদুর (৩৮) নিহা (৬) ও জসিম (৩০) সহ অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান এ দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একইদিন সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার এনায়েতপুরস্হ বালুরটাল নামক স্হানের হাটহাজারী – নাজিরহাট মহাসড়কের উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়, ফায়ার সার্ভিস ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে যাত্রীবাহী একটি বাস (চট্টমেট্রো – জ- ১১-১৫৪৭) ফটিকছড়ি থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাওয়ার সময় বিপরীতে দিক থেকে আসা একটি হাইসের (মাইক্রোবাস) (চট্টমেট্রো – জ- ১১-৬৬৭৭) সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। দূর্ঘটনায় হাইস (মাইক্রোবাস) চালক জাহেদ গাড়ির চালকের সীটে আটকা পড়ে। দূর্ঘটনার পর পর স্হানীয় লোকজন ছুটে এসে আহতদের কয়েক জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্ত হাইসের চালকের সিটে আটকে পড়া চালককে স্থানীয়রা কোন ভাবে উদ্ধার করতে না পেরে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হইসের দরজা কেটে তাকে আশংকজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আহত চালকের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে( চমেক) প্রেরন করেন। এ দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী বাস ও হাইসের অন্তত বিশ জন যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। সংবাদ পেয়ে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ীগুলো জব্দ করে।
নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ- পরিদর্শক আনিসুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনার কথা গণামাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ী গুলো আটক করার কথা স্বীকার করেন।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান এ প্রতিবেদককে জানান, আহতদের মধ্যে হাইসের চালক জাহেদের অবস্থা গুরুতর।