হাটহাজারীতে পাইজা আক্তার হালিমা নামের এক নিখোঁজ শিশু কন্যার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের পিতা মো.আকবর হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর ফোরকান (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে মডেল থানা পুলিশ।
আটক ফোরকান বাঁশখালী উপজেলার ৯ নং শিলকুপ ইউপির ১ নং ওয়াডস্থ পশ্চিম মনকিরচর (নোয়াঘোনা) মজিদ এর বাড়ির নুরুন নবীর পুত্র। সে বর্তামানে শিকারপুর ইউপির ২ নং ওয়াডস্থ পূর্ব শিকারপুর এলাকায় ভাড়া ঘরে বসবাস করে আসছিলো।
জানা গেছে, ভোলা জেলার ভোলা সদর থানার ৯ নং ওয়ার্ডস্থ গাজীর চর এলাকার মো.আকবর হোসেনের কন্যা পাইজা আক্তার হালিমা (০৮) পরিবারের সদস্যদের সাথে আনুমানিক দেড় ২ মাস পূর্বে হাটহাজারী উপজেলার ১৪ নং শিকারপুরস্থ খালার বাসায় বেড়াতে আসে । পরে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারী হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়েছিলো সে। আশে পাশে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাইজা কে না পেয়ে ১২ জানুয়ারী পরিবারের পক্ষ থেকে হাটহাজারী মডেল থানার একটি নিখোঁজ ডায়রী করেছিলেন। তার ঠিক নয়দিন পর শনিবার ২০ জানুয়ারী বিকাল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ১৪ নং শিকারপুর ইউপির ২ নং ওয়াডস্থ পূর্ব শিকারপুরের ইডেন নুর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি নামক প্রতিষ্ঠানের পিছনের চন্দ্রাবিল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবার দাবী করছিলো তাদের শিশু কন্যাকে ওই ফোরকান যৌন নির্যাতন করে হত্যা করেছে। কারন খালার বাসায় বেড়াতে আসার কিছুদিন পর নিহতের ছোট বোন কে ওই ফোরকান পটেটো চিপস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নির্জন ঘরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করেছিলো। পরে ঘটনা তার বড় বোন পাইজাকে জানালে পাইজা তার মাকে ঘটনা জানিয়ে দিয়েছিলো। পাইজার অবিভাবকরা এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে চাইলে লম্পট ফোরকানের জমিদার স্থানীয় বাবলুসহ কয়েকজন আপোষ মিমাংসা করে থানায় যেতে দেয়নি। সে ঘটনার কিছুদিন পরেই পাইজা নিখোঁজ হয়েছিলো।পাইজার পরিবারের সদস্যরা তাদের শিশু কন্যা হত্যাকারীর ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটকের সত্যতা স্বীকার করে জানান আটকৃতকে রবিবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।