চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জমজমাট বাহারি রঙের পিঠা উৎসবে সাজানো হয়েছে নারিকেল পুলি, দুধ পুলি, চিতই পিঠা, ক্ষীরসা পাটিসাপটা, পানতোয়া নারিকেল পুলি, শিমের ফুল, ছাঁচের পিঠা, চালের লাউসহ শত রকম পিঠা।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ পিঠা উৎসব। পিঠা উৎসব দেখার জন্য সকাল থেকে মিরসরাই ক্যাফেতে ভিড় জমান বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বয়সের মানুষ।
জানা গেছে, মিরসরাই ক্যাফে ও অনলাইনভিত্তিক সংগঠন ‘মিরসরাইয়ান’ এর উদ্যোগে দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে বেশ কয়েকটি স্টলে শতাধিক পিঠা স্থান পায়। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মকে জানাতে এমন আয়োজন করেন তারা।
স্টলগুলোতে সাজানো হয়ে ফুলঝুরি পিঠা, তাল পিঠা, ডিম সুন্দরী পিঠা, ঝাল পোয়া, চালের নাড়ু, নারিকেলের সন্দেশ, ঝিনুক পিঠা, গোলাপ পিঠা, শিমের ফুল, বেনি পিঠা, ছাঁচের পিঠা, চিরতনী পিঠা, ‘জ্বালা পিঠা, তিলের পিঠা, দাঁতের পিঠা, নকশি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, তালের পিঠা, মধুভাতসহ নানা ধরনের পিঠা।
পিঠার স্টল সাজান জান্নাতুন নাঈমা, সুবর্ণা রাণী নাথ, তাহরিনা তারান্নুম ইউশা, তানিয়া ও জুবায়ের।
উৎসবে আসা কামরুল হাসান বলেন, ‘পিঠা উৎসবের কথা শুনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছুটে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। ছোটবেলায় মায়ের হাতে যেসব পিঠা খেয়েছি, অনেক বছর পর সেই পিঠাগুলো দেখলাম-খেলাম।’
স্কুলশিক্ষক কবির হোসেন বলেন, ‘আমরা গ্রাম থেকে ছুটে এসেছি পিঠা উৎসব দেখতে। এসে অনেক ভালো লাগছে। সবচেয়ে ব্যতিক্রম লাগছে, উৎসবে এমন কিছু পিঠা এসেছে যা আমরা আগে দেখিনি। আসলে অনেক হারিয়ে যাওয়া পিঠা এখানে দেখলাম।’
নারী উদ্যোক্তা তাহরিনা তারান্নুম ইউশা বলেন, ‘আমরা তিন বান্ধবী মিলে স্টল দিয়েছি। সকাল থেকে ভালো বিক্রি হয়েছে। প্রথমবার পিঠা উৎসবে এসে ভালো সাড়া পেয়েছি। সকালে অনেক আইটেমের পিঠা এনেছি। সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের স্পেশাল ছিল গোলাপ পিঠা, বেনি পিঠা।’
পিঠা উৎসবের উদ্যোক্তা কন্ঠ শিল্পী মহিবুল আরিফ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো মিরসরাই ক্যাফে ও মিরসরাইয়ান অনলাইন গ্রুপের উদ্যোগে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। সাড়া পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে। এতটা জমজমাট হবে চিন্তা করি নাই।