চট্টগ্রাম জেলার ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া কাজী পাড়া এলাকার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল কালাম চৌধুরী (৭১) প্রকাশ কালাম চেয়ারম্যান কে ঘটনার ২০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব -৭ এর সদস্যরা।
গ্রেপ্তার হওয়া আবুল কালাম চৌধুরী প্রকাশ কালাম চেয়ারম্যান উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া কাজী পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ চৌধুরীর পুত্র।
শনিবার(০৮ এপ্রিল)দুপুরের দিকে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে র্যাব ৭ এর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৩ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়ার কাজী পাড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৩ সালের ২৬ মে সকালে জামাল ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এসময় এলোপাতাড়ি গুলি, কিরিচ ও দা দিয়ে কুপিয়ে আবুল বশর, বাদশাহ ও কাশেম নামের আপন তিন ভাইকে হত্যা করে জামাল ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। তখন আসামি কালাম চেয়ারম্যান সকলের অস্ত্রগুলো জমা নিয়ে সেগুলো কলাপাতা দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে এবং কিরিচগুলো খালের পানিতে ফেলে দেয়।
পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই মজ্জল মাস্টার বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ঘটনার পর থেকে পলাতক আসামি আবুল কালাম চৌধুরী প্রকাশ কালাম চেয়ারম্যানকে আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.রুহুল আমিন সবুজ গ্রেফতারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, পলাতক আসামি কালাম চেয়ারম্যান কে ফেফতারের পর শনিবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।