চট্টগ্রাম 1:42 am, Wednesday, 25 June 2025

ইপসার উদ্যোগে চট্টগ্রামে দুইদিনব্যাপী নগর ঝুঁকি নিরূপণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল আগ্রাবাদে দুইদিনব্যাপী “নগর ঝুঁকি নিরূপণ” বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস (GFFO)-এর অর্থায়নে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন ইপসা বাস্তবায়িত “মাল্টি হ্যাজার্ড অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন ইনিশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় সেভ দ্য চিলড্রেন এর সার্বিক সহযোগিতায় এবং রাইমস এর কারিগরি সহায়তায় অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশরাফুল আমিন। বক্তব্য প্রদান করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর উপপরিচালক মো. আবদুল্লাহ,

সেভ দ্য চিলড্রেন এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাভেদ মিয়াঁদাদ, ফাতেমা মেহেরুন্নেসা,  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইপসার প্রকল্প ব্যবস্থাপক সানজিদা আক্তার। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন  Risk Management Specialist সাকিব ইমতিয়াজ (রাইমস), অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার মো. আশিক উজ্জামান (রাইমস), প্রশিক্ষণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৭, ৮, ৯ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সচিব, নগর স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ এবং ইপসার প্রকল্পভূক্ত কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইপসার প্রকল্প কর্মকর্তা মুহাম্মদ আতাউল হাকিম।

প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সেশনে উঠে আসে বিপদ ও আপদ নিয়ে বিস্তারিত ধারনা, বিপদ ও আপদের কারণে সম্ভাব্য ক্ষতি কিংবা ঝুঁকির সম্ভাবনা, এলাকা কিংবা ওয়ার্ড ভিত্তিক দুর্যোগসমূহ, মৌসুমি দূর্যোগের বর্ষপঞ্জি তৈরি কিভাবে করতে হয়, দূর্যোগের ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ, দূর্যোগের খাতভিত্তিক ঝুঁকি ও তার কারণ এবং ঝুঁকি নিরসনের উপায়। পাশাপাশি দুর্যোগের পূর্ব ও পরবর্তী করণীয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশিকাও উপস্থাপন করা হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে অংশগ্রহণকারীরা গ্রুপ ভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে ঝুঁকি ও সম্পদের মানচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে ওয়ার্ডভিত্তিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করেন একইসাথে সেসব এলাকায় সেক্টরভিত্তিক আপদ, সম্পদ ও ঝুঁকি শনাক্ত করেন একইসাথে প্রতিটি গ্রুপ পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাদের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ উপস্থাপন করে, যা উপস্থিত সবাইকে বিষয়টি সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা দেয়। প্রশিক্ষকগণ প্রশ্নোত্তর পর্বে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের শেখার অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করেন। এছাড়া প্রশিক্ষণের ফাঁকে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলেন সমাপণী বক্তব্য প্রদান করেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর সিনিয়র ম্যানেজার ( হিউম্যানিটেরিয়ান) সায়মন রহমান।

প্রধান অতিথি আশরাফুল আমিন প্রশিক্ষন আয়োজনে সন্তুষ্ট হয়্র ব্যক্ত করেন, “এই প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী। এটি একটি বাস্তবধর্মী ‘অন-জব’ প্রশিক্ষণ।” তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পাহাড় কেটে পাহাড় ব্যবসা করছে, যার ফলে পাহাড়ধসের ঝুঁকি বাড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “এই প্রশিক্ষণের ফলাফল ও প্রতিবেদন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে উঠবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই প্রতিবেদনে চট্টগ্রামের পাহাড়ের বর্তমান ও অতীত সংখ্যা, ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড়ের পরিমাণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি ইপসার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের জন্য তিনি প্রশংসা করেন এবং সকল অংশগ্রহণকারীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঝুঁকি নিরূপণ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন ও যেকোনো প্রতিকূলতা মোকাবেলায় সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্দ্বীপে টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউ টিন, নগদ অর্থ ও চাল বিতরণ

ইপসার উদ্যোগে চট্টগ্রামে দুইদিনব্যাপী নগর ঝুঁকি নিরূপণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

Update Time : 05:01:27 pm, Tuesday, 24 June 2025

চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল আগ্রাবাদে দুইদিনব্যাপী “নগর ঝুঁকি নিরূপণ” বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস (GFFO)-এর অর্থায়নে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন ইপসা বাস্তবায়িত “মাল্টি হ্যাজার্ড অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন ইনিশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় সেভ দ্য চিলড্রেন এর সার্বিক সহযোগিতায় এবং রাইমস এর কারিগরি সহায়তায় অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশরাফুল আমিন। বক্তব্য প্রদান করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর উপপরিচালক মো. আবদুল্লাহ,

সেভ দ্য চিলড্রেন এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাভেদ মিয়াঁদাদ, ফাতেমা মেহেরুন্নেসা,  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইপসার প্রকল্প ব্যবস্থাপক সানজিদা আক্তার। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন  Risk Management Specialist সাকিব ইমতিয়াজ (রাইমস), অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার মো. আশিক উজ্জামান (রাইমস), প্রশিক্ষণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৭, ৮, ৯ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সচিব, নগর স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ এবং ইপসার প্রকল্পভূক্ত কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইপসার প্রকল্প কর্মকর্তা মুহাম্মদ আতাউল হাকিম।

প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সেশনে উঠে আসে বিপদ ও আপদ নিয়ে বিস্তারিত ধারনা, বিপদ ও আপদের কারণে সম্ভাব্য ক্ষতি কিংবা ঝুঁকির সম্ভাবনা, এলাকা কিংবা ওয়ার্ড ভিত্তিক দুর্যোগসমূহ, মৌসুমি দূর্যোগের বর্ষপঞ্জি তৈরি কিভাবে করতে হয়, দূর্যোগের ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ, দূর্যোগের খাতভিত্তিক ঝুঁকি ও তার কারণ এবং ঝুঁকি নিরসনের উপায়। পাশাপাশি দুর্যোগের পূর্ব ও পরবর্তী করণীয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশিকাও উপস্থাপন করা হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে অংশগ্রহণকারীরা গ্রুপ ভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে ঝুঁকি ও সম্পদের মানচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে ওয়ার্ডভিত্তিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করেন একইসাথে সেসব এলাকায় সেক্টরভিত্তিক আপদ, সম্পদ ও ঝুঁকি শনাক্ত করেন একইসাথে প্রতিটি গ্রুপ পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাদের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ উপস্থাপন করে, যা উপস্থিত সবাইকে বিষয়টি সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা দেয়। প্রশিক্ষকগণ প্রশ্নোত্তর পর্বে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের শেখার অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করেন। এছাড়া প্রশিক্ষণের ফাঁকে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলেন সমাপণী বক্তব্য প্রদান করেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর সিনিয়র ম্যানেজার ( হিউম্যানিটেরিয়ান) সায়মন রহমান।

প্রধান অতিথি আশরাফুল আমিন প্রশিক্ষন আয়োজনে সন্তুষ্ট হয়্র ব্যক্ত করেন, “এই প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী। এটি একটি বাস্তবধর্মী ‘অন-জব’ প্রশিক্ষণ।” তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পাহাড় কেটে পাহাড় ব্যবসা করছে, যার ফলে পাহাড়ধসের ঝুঁকি বাড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “এই প্রশিক্ষণের ফলাফল ও প্রতিবেদন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে উঠবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই প্রতিবেদনে চট্টগ্রামের পাহাড়ের বর্তমান ও অতীত সংখ্যা, ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড়ের পরিমাণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি ইপসার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের জন্য তিনি প্রশংসা করেন এবং সকল অংশগ্রহণকারীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঝুঁকি নিরূপণ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন ও যেকোনো প্রতিকূলতা মোকাবেলায় সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।