কে আমার ছেলেকে ঘুরতে নিয়ে শেষ করলো? এসব বলে রাত সাড়ে ১২টায় মোটর সাইকেল দুঘর্টনায় নিহত প্রবাসী ছেলের লাশ দেখতে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
হাসপাতালে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। মাত্র দেড় মাস আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে আসে নিহত মেহেদী। বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে যাবার সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান
মেহেদী। মটর সাইকেল আরোহীর আরো দুইজন গুরুতর আহত হলে তাঁদের নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি করা হয়।
২৭ জুন, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা নবাবগঞ্জ বান্দুরা যাওয়ার আঞ্চলিক মহাসড়কের
নবাবগঞ্জ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া সমশেরপুর এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। সে গত দেড় মাস আগে সৌদি-আরব থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছেন। আহত তামিম ওই এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে এবং অপর আহত হাসান একই এলাকার দরবেশ আলীর ছেলে।
আহত তামিম ও হাসান জানায়, দুই মোটর সাইকেলে ৬ বন্ধু কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া থেকে নবাবগঞ্জের কলাকোপা ঘুরতে আসেন। তাঁদের মোটর সাইকেলে তিনজন ছিল। তামিম মোটর সাইকেল চালাচ্ছিলো। মাঝখানে মেহেদী, পিছনে হাসান বসেছিল। রাত ১১টার দিকে নবাবগঞ্জ বাজার শেষে মোড় ঘুরে দ্রুত গতিতে চালানোর কারণে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরে রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যায়। এতে মেহেদী ও তামিম মারাত্মকভাবে আহত হয়। হাসান সহ প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যত্বরত চিকিৎসক মেহেদী কে মৃত ঘোষণা করেন। তামিম কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক রাজিবুল ইসলাম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।