বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী কে. কে.এম.রফিক বিন চৌধুরী সম্পর্কে বলেন, “বাবাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন অনেক একা হয়ে যায়। মাথার উপর ছাদ সড়ে যায়, মুরব্বি ছিলো না, তখন প্রাণপ্রিয় চাচা মরহুম কে. কে.এম.রফিক বিন চৌধুরী সাহেব আমাকে হাত ধরে ধরে রাজনীতি শিখিয়েছিলেন।তিনিই মাথার ছায়া ছিলেন। কারাগারে আব্বার কাছ থেকে পরামর্শ নিতাম, বাইরে কে. কে.এম.রফিক বিন চৌধুরী আমাকে উনার আশেপাশে এবং আব্বার পুরাতন মানুষ যারা ছিলেন তাদের সবার সাথে এক এক করে পরিচয় করিয়ে দিতেন। বাবাকে হারিয়ে উনার উপরই অনেকটা নির্ভর ছিলাম। বাবা এবং এই চাচার মৃত্যুর পর উনাদের আদর্শ, দেশপ্রেম এবং আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করার শিক্ষাকে ধারণ করেই উনাদের দেখানো পথেই আজ রাজনীতি করে যাচ্ছি।”
সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান, রাজানগর রাণীরহাট ডিগ্রী কলেজ, রফিকাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত কে. কে.এম.রফিক বিন চৌধুরীর স্মরণ সভা, দোয়া মাহফিল ও গুণী সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
রফিকাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা জজ কোর্টের এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এড. কে আর এম খাইরুদ্দীন মাহমুদ চৌধুরী। কে. কে.এম.রফিক বিন চৌধুরীর জীবনী তুলে ধরেন উনার সন্তান কে.আর.এম পেয়ার উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তরজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ইউছুফ মিয়া চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথি উদয় কুসুম বড়ুয়া, চট্টগ্রাম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এস ইউ এম নুরুল ইসলাম, রফিকাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস মিয়া, বিএনপি নেতা ওয়াকিল আহমদ তালুকদার, আব্দুল মান্নান রণি, এডভোকেট আরিফুল ইসলাম, সাহেদ কামাল তালুকদার, রেজাউল করিম সওদাগর, নাছির উদ্দীন নসু, জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, বিএনপি নেতা ইসমাঈল সিকদার, আবু বক্কর তালুকদার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য কে আর এম সরফুদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন প্রবীণ শিক্ষককে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এছাড়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পরিবারকেও কে. কে.এম.রফিক বিন চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।