চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী ও বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মঈন উদ্দিন লিটনসহ ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মাওলা নামের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) সাড়ে ৮টার দিকে বারইয়ারহাট পৌর সদরের কাঁশবন রেস্টুরেন্ট সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মঈন উদ্দিন লিটনসহ আমাদের বেশ ক’জন নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে কাঁশবন রেস্টুরেন্টে চা নাস্তা খেতে যাই। সেখান থেকে বের হলে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা আমার এবং নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম ও বারইয়ারহাট পৌরসভার বিএনপির আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর অনুসারীরা আমাদের ওপর এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়৷ আমাদের সফলতা, আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাদের নোংরা হামলায় আমাদের বেশ ক’জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশকে ফোন দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। তারা আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো।
জানা গেছে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তবে সবার পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বারইয়ারহাট বড় বাজারে নিয়মিত আমাদের শত শত নেতাকর্মীরা অবস্থান করে। কাঁশবন হোটেলের সামনে আমাদের ছাত্রদল যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে কটূক্তি করে। সেটি বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। তারাই প্রথমে হামলা করে।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (মস্তাননগর) হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, হামলায় আহত হওয়া চারজনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। মাওলা নামে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটা বিএনপির দলীয় কোন্দল। খবর পেয়ে পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।