রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিবেশীর হাতুড়িপেটায় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন রাজমিস্ত্রী। পরে গণধোলাই দিয়ে ওই ব্যক্তিকে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। এসময় তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোরে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড গীরছ ফকিরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত স্থানীয় নুরুল ইসলামের ছেলে জাহেদুল আলম গফুর বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় মামলা দিলে পুলিশ অভিযুক্ত আবদুল শুক্কুরের ছেলে মো. আবদুল কাদের (২৩) ও তার ভাই মো. ফাহিমকে (২১) গ্রেফতার করে একইদিন জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
মামলার এজহার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূল অভিযুক্ত আবদুল কাদের নিজেকে সমন্বয়ক দাবী করে আসছে। অথচ তিনি রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। দেশের পট পরিবর্তনের পর নিজেকে বিএনপি কর্মী দাবী করে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নিতে দেখা গেছে তাকে। সম্প্রতি নিজেকে সমন্বয়ক দাবী করে থানার এক পুলিশ সদস্যকেও ফোন দিয়ে অনৈতিক আবদারের কল রেকর্ড ফাস হয়েছে। একই দাবী করে গত ১৫-২০ দিন ধরে এলাকায় প্রতিনিয়ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে ঘুরাফেরা করছিলো এবং বিভিন্ন পেশাজীবিদের নানা হুমকি ধমকি দিচ্ছিলো। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভোর ৮টার দিকে অভিযুক্ত আবদুল কাদের প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রী গফুরের ঘরে লোহার কিরিচ হাতে প্রবেশ করে কুপিয়ে যখম করার চেষ্টা করে। তবে ভাগ্যক্রমে তার হাত থেকে কিরিচটি পরিবারের অন্যান্যরা কেড়ে নিয়ে নিলে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। পরে কোমর থেকে লোহার হাতুড়ি বের করে রাজমিস্ত্রী গফুরকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর যখম করে। পরে তার ভাই ফাহিমও ঘটনাস্থলে গিয়ে কিরিচ দিয়ে আঘাত করলে ভুক্তভোগী গফুরের ডান পায়ে, হাতে এবং গলায় রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের সাথে থাকা অন্যান্যরাও ঘরে থাকা পরিবারের সদস্যদেরকে লাঠিসোটা দিয়া আঘাত করে জখম সহ প্রানে হত্যার হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের ধরে ফেলেন এবং গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
এই ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, “অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিলে আমরা তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি এবং জেল হাজতে প্রেরণ করি। এই ব্যাপারে আরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।”