চট্টগ্রাম 5:36 am, Tuesday, 3 June 2025

সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম নৌ চলাচল বন্ধ: ফেরিঘাটে শতাধিক যানবাহন, দুর্ভোগে যাত্রীরা

সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম — টানা বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত দুই দিন ধরে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল। এতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার গুপ্তছড়া ফেরিঘাটে অন্তত শতাধিক যানবাহন আটকে পড়েছে, ফলে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন যাত্রীরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টি। সমুদ্র অতি উত্তাল এবং পানির প্রবাহ বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ফেরিগুলো চলাচল করতে পারছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ঘাট এলাকায় আটকে থাকা যানবাহনের মধ্যে রয়েছে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেল। অনেক যাত্রী এবং চালক চার থেকে ছয় দিন ধরে সেখানে আটকে আছেন। তাদের অভিযোগ—ফেরিঘাট এলাকায় নেই কোনো হোটেল, খাবার পানি কিংবা স্যানিটেশন সুবিধা। মৌলিক সেবার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।

ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা ও অনিশ্চয়তার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপের প্রভাব আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে এবং সমুদ্র পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে উত্তাল থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

এই সংকটময় পরিস্থিতিতে যাত্রীরা স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি ত্রাণ, খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সন্দ্বীপে সাপের কামড়ে আহত রিপন, চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্বলতায় উদ্বেগ

সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম নৌ চলাচল বন্ধ: ফেরিঘাটে শতাধিক যানবাহন, দুর্ভোগে যাত্রীরা

Update Time : 12:59:09 pm, Saturday, 31 May 2025

সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম — টানা বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত দুই দিন ধরে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল। এতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার গুপ্তছড়া ফেরিঘাটে অন্তত শতাধিক যানবাহন আটকে পড়েছে, ফলে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন যাত্রীরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টি। সমুদ্র অতি উত্তাল এবং পানির প্রবাহ বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ফেরিগুলো চলাচল করতে পারছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ঘাট এলাকায় আটকে থাকা যানবাহনের মধ্যে রয়েছে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেল। অনেক যাত্রী এবং চালক চার থেকে ছয় দিন ধরে সেখানে আটকে আছেন। তাদের অভিযোগ—ফেরিঘাট এলাকায় নেই কোনো হোটেল, খাবার পানি কিংবা স্যানিটেশন সুবিধা। মৌলিক সেবার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।

ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা ও অনিশ্চয়তার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপের প্রভাব আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে এবং সমুদ্র পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে উত্তাল থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

এই সংকটময় পরিস্থিতিতে যাত্রীরা স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি ত্রাণ, খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছেন।