সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরী ঘাট পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মাদ ফাওজুল কবির খান। গতকাল শনিবার বিকাল ৩ টায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ফেরী ঘাট পরিদর্শনকালে ঘাট ও ফেরীতে কর্মরত লোকজনকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘বাঁশবাড়িয়া ফেরী ঘাটকে একটি স্থায়ী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ ফেরী ঘাট হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বর্ষা মৌসুমে যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা সরেজমিনে দেখতে এখানে আসা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আসা যাত্রী ও চালকদের জন্য সুব্যবস্থার অংশ হিসেবে বসার ছাউনির সংখ্যা বৃদ্ধি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। আশা করছি, আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে।’ উপদেষ্টা জানান, ফেরীতে যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীদের যেন অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের যেন কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয়, সে বিষয়েও নজরদারী বাড়ানো হবে।
পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘কুমিরা ঘাটঘর থেকে বাঁশবাড়িয়া ফেরী ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রাস্তার কাজ শুরু হবে। এছাড়াও চারটি স্লুইসগেইট পুনঃনির্মাণ করা হবে এবং ফেরী ঘাট এলাকায় দ্রুত ড্রেজিং কাজ শেষ করা হবে।’
তিনি জানান, এই উদ্যোগ শুধু বাঁশবাড়িয়া বা সন্দ্বীপের জন্য নয়—আমরা দেশের সকল দ্বীপ অঞ্চলের ঘাটগুলোর জন্য একই ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। ঘাট এলাকায় টি-প্লান্টেশনসহ পরিবেশবান্ধব নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ কাজ করছে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সান্তু, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহম্মেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিসি এর চেয়ারম্যান মোঃ সলিম উল্ল্যাহ, বিআরটিসি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রশান্ত তালুকদার, নির্বাহী প্রকৌশলী তানজীর আহমেদ, বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামসহ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ।