চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জায়গা-জমি ও সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে দুইজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
এঘটনায় বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী এলাকার মোল্লা বাড়ীতে।
আহতরা হলেন, মোঃ আবু তালেবের পুত্র আবদুল্লাহ আল আসিফ (১৭) ও আবদুল্লাহ আল আবির (১৯)।
জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ এবাদুল হকের ছেলে মোঃ আবু তালেবের সাথে শামসুল আলমের বড় ছেলে মোঃ ভুট্টো (৪০) আর ছোট ছেলে মোঃ আব্দুল জলিলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি ও সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আসামীগণ আবু তালেব ও তার পরিবারের লোকদেরকে মারধর ও হত্যার ষড়যন্ত্র করে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় গত ৩০ এপ্রিল সকাল ১০ টায় আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এবং একে অপরের যোগসাজশে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে তালেবের দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে থাকা জাগায় অতর্কিতভাবে জোরপূর্বক বাঁশের বেঁড়া স্থাপনের কাজ শুরু করে। এসময় তালেব প্রতিবাদ করলে আসামীগণ ক্ষিপ্ত হয়।
একপর্যায়ে আসামীগণ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তালেবের বাড়ীতে ঢুকে তার উপর হামলা করে। এই সময় আসামীগণসহ অজ্ঞাত আরও কিছু লোক জায়গার সীমানা প্রাচীরসহ গাছ পালা কেটে ফেলে এবং বসত ঘরে ভাঙচুর চালায়। এসময় তালেবের দুই পুত্র আবদুল্লাহ আল আসিফ ও আবদুল্লাহ আল আবির এগিয়ে আসলে মোঃ আবদুল জলিল ও তার ছোট ভাই মোঃ ভুট্টো তাদের হাতে থাকা দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আসিফ ও আবিরকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় আশেপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় গত ৭ মে আসিফ ও আবিরের পিতা মোঃ আবু তালেব বাদী হয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
আহত আসিফ ও আবির জানান, আমার পিতার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোঃ আবদুল জলিল ও মোঃ ভুট্টো লাঠি দিয়ে আমার পিতাকে বেদম মারধর করে এবং ঘরে ভাঙচুর চালায়। তখন চিৎকার শোনে আমরা দুই ভাই এগিয়ে আসলে আমাকে ও আমার ভাই আবিরকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চান।
মোঃ আবু তালেব জানান, জোরপূর্বক আমার জায়গায় বেঁড়া নির্মাণ শুরু করে। এসময় প্রতিবাদ করলে জলিল ও ভুট্টোর সাথে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং আমার বসত ঘরে ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে আমার দুই ছেলে আমাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাদের কে কুপিয়ে আহত করে। তারা প্রায় সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচার চাই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার দায়িত্বরত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ ইউনুস বলেন, তদন্ত চলতেছে। এখনও শেষ হয় নাই।