চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভায় ওএমএস এর ডিলারশিপ পাইয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুল আলম আজাদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিগত সরকারের আমলে সুবিধাভোগী ডিলারদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভিন্ন নামে আবেদন করিয়ে ডিলারশিপ পেতে সহযোগীতা করছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি এলাকায় জানা-জানি হলে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ তুলেছেন খোদ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের অবৈধ রাতের ভোটের অংশীদার ছিলেন আওয়ামী আমলে তিনবারের নির্বাচিত এই কাউন্সিলর। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর ভোল পাল্টিয়ে সে নিজেকে সীতাকুণ্ড পৌরসভার বিএনপি নেতা দাবী করে এবং বিএনপির নাম ব্যবহার করে অনেক অপকর্ম করছে এই আজাদ। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পালিয়ে গেলেও রাতের ভোটের এই কাউন্সিলর এখনও পৌরসভা এলাকায় তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে যা থেকে বিএনপির ত্যাগী নেতারাও রেহায় পাচ্ছে না। শহীদুল্লাহ আরও বলেন, ওএমএস ডিলারশিপ পাইয়ে দিবে বলে আমার কাছ থেকে কমিশনার আজাদ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন।
বিএনপি নেতার কাছ থেকে ঘুষ দাবী করার বিষয়ে জানতে চাইলে, কাউন্সিলর শামছুল আলম আজাদ বলেন, কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ আনেন আমার কি করার আছে। ওএমএস এর ডিলার সম্পূর্ণ আমার নিয়ন্ত্রণে না।
ডিলার নিয়োগে অনিয়ম প্রসঙ্গে সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, সীতাকুণ্ড পৌরসভায় ডিলার নিয়োগে একটি যাচাই-বাছাই কমিটি করা হয়েছে। যারা বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে তাদের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে ডিলারশিপ নিয়োগ দেওয়া হবে।