ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বালেঙ্গা গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম। রবিবার (৭ জুলাই) সংযুক্ত আরব আরিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এ গ্রামের ৪জন সহ ৫জন প্রবাসী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ দুর্ঘটনায় নবাবগঞ্জের বালেঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম রানা (৩০), আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. রাশেদ (৩২), শেখ ইরশাদের ছেলে মো. রাজু (২৪), শেখ ইব্রাহীমের ছেলে ইবাদুল ইসলাম (৩৪) এবং দোহার বাজার এলাকার মো. মঞ্জুর ছেলে মো. হিরা মিয়া (২২) নিহত হয়।
সোমবার দুপুরে নিহত প্রবাসী তৌহিদুল ইসলাম রানার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, রানার বাবা লুৎফর রহমান সন্তান হারানোর বেদনায় বুক চাপড়ে কাঁদছেন। কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না আদরের সন্তান আর ফিরে আসবে না। চোখের জলে ভিজে যাচ্ছে শরীরের কাপড়। স্বজনরা শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছেন। তবুও বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে আসছে।
এমন ভাড়াক্রান্ত চিত্র পুরো গ্রাম জুড়ে। এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এ গ্রামেরই যুবক রাশেদ, রাজু ও ইবাদুল ইসলাম। একই সাথে গ্রামে ৪ সন্তান, স্বজন ও প্রতিবেশি হারানো বেদনায় শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে পুরো গ্রাম। সোমবার দুপুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
নিহত প্রবাসী তৌহিদুল ইসলাম রানার বাবা লুৎফর রহমান জানান, রানা আজমান প্রদেশে ঠিকাদারি কাজ করতো। তার আন্ডারে বালেঙ্গার তিনজন ও দোহারের একজন কাজ করতো। দুর্ঘটনার সময়ে রানা নিজেই গাড়ী চালিয়ে চারজনকে নিয়ে কাজের সাইডে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে আজমান প্রদেশেই রাস্তায় একটি ট্যাংকলরীর সাথে ধাক্কায় আগুন লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, দুই মাস পরেই রানার বিয়ের কথা ছিলো। মেয়েও ঠিক করা ছিলো। কিন্তু সন্তান লাশ হয়ে সন্তান ফিরবে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
নিতহদের পরিবারের দাবি সরকার যেনো দ্রুত নিহতদের লাশ তাদের কাছে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন।