চট্টগ্রাম 8:39 pm, Monday, 30 June 2025

সন্দ্বীপে গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালা বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা

সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসন ও গ্রাম আদালত সক্রিয় করণ প্রকল্পের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ১৬ জনুয়ারি ২০২৫ গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালা বিষয়ে এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব রিগ্যান চাকমা। ওরিয়েন্টেশন সেশনে মূল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের জেলা ম্যানোজার সাজেদুল আনোয়ার । উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ মহি উদ্দীন, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প, সন্দ্বীপ।

মুছাপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান সুরাইয়া বেগম, সারিকাইত ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান তাছলিমা বেগম, মগধরা ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ইলিয়াছ, মাইটভাংগা ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল মহসিন সেলিম , কালাপানিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান রাবেয়া বেগম, গাছুয়া ইউপি প্যালেন চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, বাউরিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মাকছুদ গনি, আমানউল্লাহ ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান জাবেদ ওমর, রহমতপুর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম প্রমুখ।

কর্মশালায় গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালার কার্যকর প্রয়োগ, আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার প্রক্রিয়া এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ভূমিকা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের কাছে গ্রাম আদালতের সংশোধিত আইন ২০২৪-এর গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও সংশোধনী সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সংশোধিত আইন অনুযায়ী গ্রাম আদালতের বিচারিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে নতুন কিছু বিধান যোগ করা হয়েছে।

এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় পর্যায়ে সেবা আরও সহজলভ্য করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেন। আলোচনায় আদালত পরিচালনার চ্যালেঞ্জ, সমাধান, এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল নিয়েও মতামত বিনিময় করা হয়।গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের আওতায় এ ধরনের কর্মসূচি স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের মধ্যে গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।স্থানীয় বিরোধ অল্প সময়ে স্বল্প খরচে স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তির জন্য চালু করা হয়েছে গ্রাম আদালত।

গ্রাম আদালতের এ সেবা সম্পকে ব্যাপক প্রচারণার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন জেলা ম্যানেজার।গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ছোট খাটো ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলা নিস্পত্তি করা হয়। দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে ২০ টাকা আর ফৌজদারী মামলার জন্য মাত্র ১০ টাকা ফিস দিয়েই ইউনিয়ন পরিষদে বিচারিক সেবা পাওয়ার সুযোগ আছে। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপুর বিচার গ্রাম আদালতের মাধ্যমে করা যায়।ইউনিয়ন পরিষদের মামলার আবেদনকারী ও প্রতিবাদী উভয়ের পক্ষে ২জন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং ২জন গন্যমান্য ব্যাক্তি মনোনয়ন করার মধ্যদিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে বিবেচিত হয়।

এছাড়াও প্যানেল চেয়ারম্যান, গ্রাম আদালত পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় জোরপূর্বক জায়গা দখল ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সন্দ্বীপে গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালা বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা

Update Time : 10:26:42 pm, Thursday, 16 January 2025

সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসন ও গ্রাম আদালত সক্রিয় করণ প্রকল্পের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ১৬ জনুয়ারি ২০২৫ গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালা বিষয়ে এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব রিগ্যান চাকমা। ওরিয়েন্টেশন সেশনে মূল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের জেলা ম্যানোজার সাজেদুল আনোয়ার । উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ মহি উদ্দীন, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প, সন্দ্বীপ।

মুছাপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান সুরাইয়া বেগম, সারিকাইত ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান তাছলিমা বেগম, মগধরা ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ইলিয়াছ, মাইটভাংগা ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল মহসিন সেলিম , কালাপানিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান রাবেয়া বেগম, গাছুয়া ইউপি প্যালেন চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, বাউরিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মাকছুদ গনি, আমানউল্লাহ ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান জাবেদ ওমর, রহমতপুর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম প্রমুখ।

কর্মশালায় গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালার কার্যকর প্রয়োগ, আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার প্রক্রিয়া এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ভূমিকা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের কাছে গ্রাম আদালতের সংশোধিত আইন ২০২৪-এর গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও সংশোধনী সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সংশোধিত আইন অনুযায়ী গ্রাম আদালতের বিচারিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে নতুন কিছু বিধান যোগ করা হয়েছে।

এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় পর্যায়ে সেবা আরও সহজলভ্য করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেন। আলোচনায় আদালত পরিচালনার চ্যালেঞ্জ, সমাধান, এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল নিয়েও মতামত বিনিময় করা হয়।গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের আওতায় এ ধরনের কর্মসূচি স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের মধ্যে গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।স্থানীয় বিরোধ অল্প সময়ে স্বল্প খরচে স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তির জন্য চালু করা হয়েছে গ্রাম আদালত।

গ্রাম আদালতের এ সেবা সম্পকে ব্যাপক প্রচারণার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন জেলা ম্যানেজার।গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ছোট খাটো ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলা নিস্পত্তি করা হয়। দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে ২০ টাকা আর ফৌজদারী মামলার জন্য মাত্র ১০ টাকা ফিস দিয়েই ইউনিয়ন পরিষদে বিচারিক সেবা পাওয়ার সুযোগ আছে। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপুর বিচার গ্রাম আদালতের মাধ্যমে করা যায়।ইউনিয়ন পরিষদের মামলার আবেদনকারী ও প্রতিবাদী উভয়ের পক্ষে ২জন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং ২জন গন্যমান্য ব্যাক্তি মনোনয়ন করার মধ্যদিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে বিবেচিত হয়।

এছাড়াও প্যানেল চেয়ারম্যান, গ্রাম আদালত পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।