হাটহাজারী উপজেলার ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলীর সন্দ্বীপ কলোনির ছাত্রদল কর্মী আলোচিত আরিফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই পলাতক আসামি মো.মানিক (৪২) এবং মো.জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ গিট্টু জাহাঙ্গীর (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার জালালাবাদ গ্রামার স্কুল এলাকা এবং কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানার কাকাতুয়া এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মো.মানিক ফটিকছড়ি উপজেলার উত্তর রাঙ্গামাটিয়া এলাকার মো.রফিকের পুত্র এবং মো.জাহাঙ্গীর আলম ওরফে গিট্টু জাহাঙ্গীর চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আলীর পুত্র।
জানা যায়, উপজেলার ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলীর সন্দ্বীপ কলোনীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভূট্ট সুমন ও সাখাওয়াত গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। রবিবার ৮ জুন রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে সুমন গ্রুপের বহিরাগত কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে ঘটনাস্থলে আসলে সাখাওয়াত গ্রুপের সাথে ( দুই পক্ষের (সুমন ও সাখাওয়াত গ্রুপ) সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় ওই এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র ছাত্রদল কর্মী আরিফ গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিতে গুরুতর আহত আরিফকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই ঘটনার তিনদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত আরিফের মা বাদী হয়ে ১২ জুন বৃহস্পতিবার হাটহাজারী মডেল থানায় হাজির হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ ৬-৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব-৭ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লেখিত স্থান থেকে প্রথমে মানিককে এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী র্যাব-১১ এর সহায়তায় গিট্টু জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো.তারেক আজিজ রবিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা মানিককে রবিবার সকালের দিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে আর কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা জাহাঙ্গীরকে হাটহাজারী থানায় আনা হচ্ছে। এছাড়া বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।