আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এক নেতাকে গেল বিজয় দিবসের মঞ্চে উঠানোর পর এবার সরাসরি আওয়ামী দোসরদের সাথে গোপন বৈঠকের অভিযোগ ওঠেছে সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তবে আ. লীগ নেতাকে বিজয় দিবসের মঞ্চে উঠানোর পর সমালোচনার ঝরে সেই ইউএনও রফিকুল ইসলাম সম্প্রতি বদলি হয়েছেন। এবার একই পথ নয় বরং আরও একধাপ এগিয়েই যেন হাঁটছেন সদ্য যোগদান হওয়া ইউএনও ফখরুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা ৬ টায় ইউএনওর কার্যালয়ে আওয়ামী পদধারী ও দোসরদের সাথে তিনি এক গোপন বৈঠকে মিলিত হন।
জানা যায়, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও পরে প্রকাশ্য কর্মকান্ড শুরু করে সীতাকুণ্ড উপজেলার চিহ্নিত আওয়ামী পদধারী ও দোসররা। তারা উপজেলা প্রশাসন ও থানায় অবাধ যাতায়াত করতে থাকে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, বিভন্ন সরকারী দফতর ও থানাকে সীতাকুণ্ডের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে দোসরদের তালিকাসহ অবহিত করা হয়। এমনকি একই তালিকা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে প্রদান করা হয়।
তালিকায় দেওয়া আওয়ামী পদধারীদের মধ্যে রয়েছেন আমি-ডামি নির্বাচনের এমপি এস এম আল মামুনের পিএস সেকান্দর হোসাইন, নির্বাচনী উপদেষ্টা সৌমিত্র চক্রবর্তী ও লিটন কুমার চৌধুরী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিপুল রায়, আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন অনিক, আবুল খায়ের, সাইদুল হক, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রুবেল, নির্দেশ বড়ুয়া, ইকবাল হোসেন রুবেল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নেতা শেখ সালাউদ্দিন, নন্দন রায়। এছাড়া আওয়ামী দোসরদের মধ্যে রয়েছেন ফোরকান আবু, কৃষ্ণ চন্দ্র দাস, সবুজ শর্মা শাকিল ও সঞ্জয় চৌধুরী।
এদিকে আওয়ামী দোসরদের সাথে অফিস সময় শেষে সন্ধ্যায় বসা গোপন বৈঠকের বিষয়ে ইউএনও ফখরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এটিকে গোপন বৈঠক বলে স্বীকার করেননি। বরং তিনি এ গোপন বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে অবিহিত করেছেন। তবে এ বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে তা জানাননি ইউএনও।