অবশেষে মৃত্যুরকে আলিঙ্গন করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সবার প্রিয় নাহিদুল ইসলাম সজিব। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টা ৪০ মিনিটের সময় ঢাকা বারডেম হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২১ বছর। তিনি ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস যাবৎ চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ শনিবার সকাল ১১টায় নিজ বাড়ীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তিনি সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাকখালী এলাকার দোয়াগাজীপাড়ার বাসিন্দা মোঃ সেলিম উদ্দিনের পুত্র।
এদিকে তার মৃত্যুর সংবাদে নিজ এলাকা সৈয়দপুর থেকে শুরু করে সীতাকুণ্ডের সর্বত্রই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে সবাই জানাচ্ছেন সমবেদনা। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন পিতা ও মাতা।
সজিবের মৃত্যুর খবর তার পরিবারের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করে তার কাকা মোঃ শাহ আরমান আরফাত। তিনি বলেন, সজিবের মৃত্যুতে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা। ক্লাস ওয়ান থেকে আমার হাত ধরে তার স্কুল যাত্রা। স্কুল লাইফ থেকে শুরু করে ক্যারিয়ার লাইফে এনএমআইতে ট্রেনিং করা, সবকিছুতেই আমি অনেকটা সর্ম্পৃক্ত ছিলাম। সজিবের স্বপ্ন ছিলো জাহাজে চাকরী করবে, প্রশিক্ষণ শেষ করলেও জাহাজে চাকরীর সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না তার।
এলাকাবাসী জানায়, সজিব ছিল শান্ত ও নম্র-ভদ্র প্রকৃতির। কখনো কারো সাথে খারাপ আচরণ করেনি। সবসময় এলাকার মানুষকে সালাম ও সম্মান করতো। তার এই অকাল মৃত্যুতে আমরা খুব মর্মাহত।
জানা যায়, নাহিদুল ইসলাম সজিব শেখেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি পাস করে। পরবর্তীতে National Maritime Institute (NMI) থেকে ২৬ তম ব্যাচে সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করে। প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ীতে আসলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তারের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর ফুসফুস জনিত সমস্যা ধরা পড়ে তার। এরপর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও শেষ পর্যন্ত সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।