চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর গ্রামে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে শহিদুল ইসলাম (৫২) ও আলাউদ্দিন (৩৮) নামে উভয়পক্ষের ২ জন আহত হয়।
সকালে শহিদুল ইসলাম নামে এক বিএনপি কর্মী বাজারে যাওয়ার সময় পথরোধ করে তাকে একই এলাকার বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন তার পাওনা টাকা চায়। টাকা চাওয়া নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এতে দুইজনই রক্তাক্ত হয়। আহত শহিদুল ইসলাম অলিনগর গ্রামের হাজী মৃত ফকির আহমেদ এর ছেলে এবং তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন এর অনুসারী বলে জানা যায়। এবং একই এলাকার বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন আহত হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর অনুসারী বলে জানা যায়।
আহত আলাউদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নেয় এ ব্যক্তি। এছাড়া আমাকে নিয়ে ফেইসবুকে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট করে। আমি পাওনা টাকা চাওয়ায় সে এবং তার বাহিনী নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছি। চিকিৎসা শেষে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আহত শহিদুল ইসলাম জানান, আমার কাছে আলাউদ্দিন কোন টাকা পাবে না। তার সাথে আমার কোন লেনদেন নেই। তারপরও সে বারবার টাকা চাচ্ছে আমার কাছে। গত ২৬ তারিখ বিএনপির কমিটি গঠন নিয়েও আমার উপর হামলা চালায় তারা। ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবলুর নেতৃত্বে আজ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শতাধিক সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার ভাইদের ঘর, ফার্নিচার সহ সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শুনে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।