চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক ব্যবসায়ীর ওপর চাঁদার দাবীতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলামের পরিবার। হামলায় মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম (৫১) আহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের বরইয়া গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় মিরসরাই পৌরসদরের পার্ক ইন রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদার দাবীতে সন্ত্রাসী চক্র হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর দুই দফা হামলা করে।
হামলার ঘটনায় আলা উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন, জহির উদ্দিন বাবলু, রেজাউল করিম হকসাবসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৭, ৩০৭, ৩২৬, ৩৮৬, ৫০৬(২), ৩৪ ধারা এবং অস্ত্র আইনের ১৯(f) ও ১৯A ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২৬ মার্চ এবং ১৪ এপ্রিল তার ওপর দুই দফা হামলা চালানো হয়।
শহিদুল ইসলামের ভাষ্য, ২৬ মার্চ সকালে তার ভাতিজাকে মারধর করছিলেন বিবাদীরা। তিনি বাধা দিতে গেলে তাকেও রড দিয়ে মারধর করা হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল সকালে করেরহাট বাজারে যাওয়ার পথে তাকে পথরোধ করে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাটি কাটার ধারালো কোদাল দিয়ে তার কপালে আঘাত করা হয়। পরে আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে টিভি, ফ্রিজসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
শহিদুলের দাবি, হামলায় তার প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলা উদ্দিন হামলার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, পাওনা টাকা চাওয়ায় শহিদুল আমার ওপর হামলা করে উল্টো আমিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’