অনলাইনে প্রেম, অতঃপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৩ লাখেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশী নারী।
ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলা, আগলা ইউনিয়ন, আগলা উত্তর হাটি তেঁতুলা গ্রামের প্রবাসী আল-আমিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।
ভবিষ্যতে কোনো প্রবাসী যেন এ ধরনের প্রতারণার শিকার না হয় এবং ভুক্তভোগী প্রবাসী তার কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পায় সে কারণেই নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান প্রবাসী আঁখি আক্তার।
আঁখি আক্তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, কুয়েতে প্রবাসী আল-আমিন সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২০১৯ সালে ১২ এপ্রিল আঁখি আক্তার (২৩), পিতা: রফিকুল ইসলাম, সাং-খোলাহাটি মাষ্টারপাড়া, থানা ও জেলা : গাইবান্ধা মেয়ে আঁখি আক্তার সঙ্গে। এরপর থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে তাদের কথাবার্তা হয়। সেই সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে আল-আমিন কুয়েত প্রবাসী আঁখি আক্তার কে বিয়ের প্রলোভন দেখায় এবং সে আঁখি আক্তার কে বিয়ে করতে চায়। তার সরল কথায় বিশ্বাস করে আঁখি আক্তার জর্ডানে অবস্থান কালে নিজ বাসায় মোবাইল ডিভিও কলের মধ্যেমে আল-আমিন তার চারজন প্রবাসী বন্ধু এবং কাজী দিয়ে কুয়েতে ফোনের মাধ্যম মৌখিক ভাবে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর থেকে সারা বিশ্বে যখন কোভিড-১৯ বিস্তার পড়ে মানুষ তখন লগডাউন কারণে ঘরে বসে থাকে কাজ কর্ম নেই সেই সময় কুয়েত প্রবাসী আল-আমিন সুযোগ নিয়ে তার মুঠোফোনে বিবাহিত স্ত্রী আঁখি আক্তার এর কাছ থেকে প্রতি মাসে হাত খরচ নিতে থাকে কোন মাসে ১২ হাজার আবার কোন মাসে ১৫ হাজার করে হাত খরচ নেয়। ২০২২ইং সালে আল-আমি তার হবু স্ত্রী আঁখি আক্তার কে ফোন করে বাবা -মা অসুস্থ্যতার কথা বলে ৬০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেন। আল-আমিন তার প্রয়োজন অনুযায়ী আঁখি আক্তার হবু স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিতে থাকে।
এ পর্যন্ত তার বিকাশের মাধ্যমে ৩ লাখেরও বেশি টাকা পাঠায় আঁখি আক্তার। ২০২৫ইং সালে আঁখি আক্তারের সাথে তার হবু স্বামী আল-আমিন যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এক সময় আঁখি আক্তার তার স্বামী আল-আমিন এর মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে ছুটিতে বাংলদেশে আসে। আল-আমিন এর ঠিকানা যোগার করে তার গ্রামের বাড়ীতে স্থানীয় লোকজন কে বিষয়টি জানায় আঁখি গ্রাম্যসালীশ বসে বিষয়টি সমাধান হয়নি এবং আল-আমিন এর পরিবার তাকে পত্রবধু হিসাবে মেনে না নিয়ে বাড়ী মারধর করে বের করে দেয়।
১২ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় আঁখি আক্তার আল-আমিনের বাড়ীতে গিয়ে সংসার করতে বললে আল-আমিন তাকে অস্বীকার করে। আল-আমিনও আঁখিকে হুমকী দামকী দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে আল-আমিন এর সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
আখি আক্তার গত ১২/০৪/২০২৫ইং সালে নবাবগঞ্জ থানা একটি সাধারণ অভিযোগ করে। অভিযোগে কোন ব্যবস্থান না হওয়াতে তিনি কোর্টে মামলা করে। মামলা নাম্বার -৪৫০২৫।