বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাবেক সাংসদ, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আবারও মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রামের মিরসরাই থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হোসাইন। মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ৬০ থেকে ৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর ১২টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলা সদরের সর্ব উত্তরে ওচিমিয়া ব্রিজ এলাকায় তাকে স্বাগত জানাতে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১০০-১২০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত হন। এসময় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাবেক সাংসদ মাহবুব উর রহমান রুহেলের হুকুমে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু, মিরসরাই পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাখের ইসলাম রাজু ও মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৫৯ জন নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪০ থেকে ৫০ জন সন্ত্রাসী লোহার রড, রামদা, কিরিচ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাকে ও দলীয় নেতাকর্মীদের পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এতে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা গাড়িবহরে থাকা ৫-৭টি গাড়ির সামনের ও পেছনের গ্লাস ভেঙে আনুমানিক দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এরপর দুপুর পৌনে ১টায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা মহাসড়কের ডাকবাংলো এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ করতে অবস্থান নিলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের নেতৃত্বে আসামিরা আমাদের নেতাকর্মী ও গাড়িবহরে থাকা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ওপর পুনরায় হামলা চালায়। এরপর দুপুরে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর চালায়। এতে আমার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইতোপূর্বে মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানায় কয়েকটি মামলা হয়েছে।
এব্যাপারে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার পথে গাড়িবহরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গত ২৭ অক্টোবর অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। আমরা তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখাবো এবং মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।