ওমানে মারা যাওয়া জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ বছর পূর্বে দেশ ছেড়ে ওমানে পাড়ি জমানো হাটহাজারীর প্রবাসী মরহুম মো.আবদুল মান্নান(৪৮) ও আব্দুল মজিদ (৫২) নামের দুই প্রবাসীর লাশ দেশে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রামের শাহআমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাশগুলো এসে পৌঁছায়। এর আগে বুধবার রাতে লাশগুলো নিয়ে ওমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সালাম এয়ারের একটি ফ্লাইট বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
ওমানে মারা যাওয়া আব্দুল মজিদ উপজেলার ৮ নং মেখল ইউনিয়নের ২ নং ওয়াডস্থ রুহুল্লাপুর গ্রামের আবদুল হালিমের পুত্র এবং আব্দুল মান্নান ১১ নং ফতেপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়াডস্থ উত্তর বোদাগাজী বাড়ির মৃত লাল মিয়ার পুত্র।
নিহত আব্দুল মান্নানের বড় ভাই আব্দুল ওহাব এ প্রতিবেদক কে জানান, প্রায় ১২ বছর পূর্বে ওমান পাড়ি জমানো আব্দুল মান্নান ৪ সন্তানের পিতা। তিনি সর্বশেষ গত ৫ বছর পূর্বে দেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে ছোট বাচ্চার জন্মের ২১ দিন পরে পুনরায় ওমানের কর্মস্থলে ফিরে যান। শরীরিক অসুস্থতা জনিত কারনে আমার ভাই ওমানে ইন্তেকাল করেন। একমাত্র আয়ের উৎস প্রবাসী ভাইকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি। এখন তারা নিঃস্ব হয়ে গেলো।
ওমান প্রবাসী চট্টগ্রাম সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক নেজাম উদ্দীন ও বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য মনসুর আলম মুসা বিকালের জানান, প্রবাসী আব্দুল মজিদ গত বুধবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে ওমানের সোহারে কর্মস্থলে স্টোক করে ইন্তেকাল করেন। অপরদিকে আবদুল মান্নান শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারনে ওমানের সালালার সুলতান কাবুস হাসপাতালে মারা যান।
তিনি আরো জানান, গত কয়েক দিন ওমানে সরকারি ছুটি থাকায় যথাসময়ে কাগজপত্র রেডি করাতে বিলম্ব হয়। সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি হবার পর বুধবার ২০ ডিসেম্বর রাতে সালাম এয়ারের একটি ফ্লাইট যোগে লাশ দুটি দেশের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে ওমানের রাজধানী মাসকাটের খোলা হাসপাতালের সামনে মরহুম আব্দুল মজিদ এবং সকাল ৮ টার দিকে ওমানের সালালার কাবুস হসপিটালের সামনে মরহুম আব্দুল মান্নানের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তারা মরহুমদ্বয়ের বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মেখল ইউনিয়ন পরিষদস্থ ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ সালাউদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদক কে জানান, দীর্ঘ বিশ বছর পূর্বে ওমানে পাড়ি জমানো মেখলের মরহুম আবদুল মজিদ পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে নিজ নিজ বাড়ীর মসজিদ মাঠে পৃথকভাবে জানাযা নামাজের পর তাদের পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।