চট্টগ্রাম 6:32 pm, Wednesday, 4 December 2024

নবাগত ওসির সঙ্গে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

সীতাকুণ্ড মডেল থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ এর সঙ্গে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকদের মতবিনিময় হয়েছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটায় সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ এর দপ্তরে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মতবিনিময়ে অংশ নেন সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের আহব্বায়ক দৈনিক ভোরের কাগজের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ইউসুফ খান, একুশে পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এম কে মনির, বিজয় টিভির রিপোর্টার কামরুজ্জামান কামরুল, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি মো. ইব্রাহিম খলিল, দৈনিক সময়ের আলোর সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি খালেদ মেসবাহ উদ্দিন, বিজয় টিভির ক্যামরাপার্সন মামুনুর রশীদ, দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার এ কে অপু, বিজনেস বাংলাদেশের ফারহান সিদ্দিক, চট্টগ্রাম বুলেটিন ও দৈনিক সাঙ্গুর জয়নাল আবেদীন, ঢাকা টাইমসের শেখ নাদিম, দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার ইমাম হোসেন ইমন, এশিয়ান টিভির রেজাউল হোসেন পলাশ, দৈনিক তৃতীয় মাত্রার মামুনুর রশীদ মাহিন, বাংলাদেশ সমাচারের মোঃ মহিউদ্দিন, দৈনিক সরেজমিন বার্তার আব্দুল মামুন ও দৈনিক দিন প্রতিদিনের মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় সীতাকুণ্ড থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকরা হচ্ছেন সমাজের আয়না। সাংবাদিক সমাজ আছে বলেই দেশের মানুষ এখনো ন্যায়-অন্যায় বুঝতে পারেন। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। সাংবাদিকরা সবাইকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন কোনটি আইন সঙ্গত আর কোনটি আইনের লঙ্ঘন। সাংবাদিকরা নিজেদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের নানা অনিয়ম-অসঙ্গতি প্রশাসনের নজরে আনতে সক্ষম হন। অন্যায়-অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিক থেকে সাংবাদিক ও পুলিশের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনকল্যাণেই আমি কাজ করে যেতে চাই। সাংবাদিকরা যখন আমার কাজে ভুল ধরিয়ে দিবেন তখন আমি মনে করব এটাই আসল সহযোগিতা। এজন্য সীতাকুণ্ডকে অপরাধমুক্ত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। আপনারা সাথে থাকলে সীতাকুণ্ডে ভিন্ন কিছু করে দেখাতে চাই। পুলিশি সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমাকে আগামী ৩ মাস সময় দিন, এরপর জবাব নিবেন সীতাকুণ্ডে কি করলাম? পুলিশে অভিজ্ঞতাকে কাজ লাগিয়ে আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সীতাকুণ্ডের কল্যাণে পুলিশের প্রত্যেকটি পদক্ষেপকে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব স্বাগত জানাতে প্রস্তুুত। জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক, কিশোরগ্যাং, ইভটিজিংসহ সকল ধরণের অপরাধ নির্মূলে পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রত্যেক সদস্য সাংবাদিক। দেশ ও দশের জন্য, উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করতে আমরা সকলে বদ্ধপরিকর। সীতাকুণ্ডে বস্তুনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। মানুষের সেবার ব্রত নিয়েই আমাদের সাংবাদিকতা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কাপ্তাই সেনা জোনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

নবাগত ওসির সঙ্গে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

Update Time : 11:47:00 am, Saturday, 22 October 2022

সীতাকুণ্ড মডেল থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ এর সঙ্গে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকদের মতবিনিময় হয়েছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটায় সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ এর দপ্তরে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মতবিনিময়ে অংশ নেন সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের আহব্বায়ক দৈনিক ভোরের কাগজের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ইউসুফ খান, একুশে পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এম কে মনির, বিজয় টিভির রিপোর্টার কামরুজ্জামান কামরুল, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি মো. ইব্রাহিম খলিল, দৈনিক সময়ের আলোর সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি খালেদ মেসবাহ উদ্দিন, বিজয় টিভির ক্যামরাপার্সন মামুনুর রশীদ, দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার এ কে অপু, বিজনেস বাংলাদেশের ফারহান সিদ্দিক, চট্টগ্রাম বুলেটিন ও দৈনিক সাঙ্গুর জয়নাল আবেদীন, ঢাকা টাইমসের শেখ নাদিম, দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার ইমাম হোসেন ইমন, এশিয়ান টিভির রেজাউল হোসেন পলাশ, দৈনিক তৃতীয় মাত্রার মামুনুর রশীদ মাহিন, বাংলাদেশ সমাচারের মোঃ মহিউদ্দিন, দৈনিক সরেজমিন বার্তার আব্দুল মামুন ও দৈনিক দিন প্রতিদিনের মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় সীতাকুণ্ড থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকরা হচ্ছেন সমাজের আয়না। সাংবাদিক সমাজ আছে বলেই দেশের মানুষ এখনো ন্যায়-অন্যায় বুঝতে পারেন। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। সাংবাদিকরা সবাইকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন কোনটি আইন সঙ্গত আর কোনটি আইনের লঙ্ঘন। সাংবাদিকরা নিজেদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের নানা অনিয়ম-অসঙ্গতি প্রশাসনের নজরে আনতে সক্ষম হন। অন্যায়-অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিক থেকে সাংবাদিক ও পুলিশের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনকল্যাণেই আমি কাজ করে যেতে চাই। সাংবাদিকরা যখন আমার কাজে ভুল ধরিয়ে দিবেন তখন আমি মনে করব এটাই আসল সহযোগিতা। এজন্য সীতাকুণ্ডকে অপরাধমুক্ত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। আপনারা সাথে থাকলে সীতাকুণ্ডে ভিন্ন কিছু করে দেখাতে চাই। পুলিশি সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমাকে আগামী ৩ মাস সময় দিন, এরপর জবাব নিবেন সীতাকুণ্ডে কি করলাম? পুলিশে অভিজ্ঞতাকে কাজ লাগিয়ে আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সীতাকুণ্ডের কল্যাণে পুলিশের প্রত্যেকটি পদক্ষেপকে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব স্বাগত জানাতে প্রস্তুুত। জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক, কিশোরগ্যাং, ইভটিজিংসহ সকল ধরণের অপরাধ নির্মূলে পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রত্যেক সদস্য সাংবাদিক। দেশ ও দশের জন্য, উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করতে আমরা সকলে বদ্ধপরিকর। সীতাকুণ্ডে বস্তুনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। মানুষের সেবার ব্রত নিয়েই আমাদের সাংবাদিকতা।