চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক নিরীহ পরিবারের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী।
গত শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটের সময়, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা একদল অপরাধী প্রকাশ্যে হামলা করে। এদের মধ্যে ছিলেন আবু রাশেদ, সামছু, মৌসুমী, ইউমি, রোকেয়া বেগম, রুবিনা বেগম, ইয়াসমিনসহ আরও ৮/১০ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, দুষ্কৃতিকারীরা প্রথমে বাড়ির পেছনের ৭ শতক জমির চারপাশে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে এবং অস্ত্র-শস্ত্র হাতে নিয়ে হামলা চালায়।
আতঙ্কিত অবস্থায় ঘরের দরজা বন্ধ করলে, সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং গৃহকর্তাকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়।
এরপর পৌরসভা রোডের শরীফ হোটেলের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন চালায়।
এই সময় ভুক্তভোগীর ৯ বছরের ছোট ছেলে ও কিশোরী মেয়ে তার মা কে বাঁচাতে গেলে তাদেরও অমানবিকভাবে প্রহার করা হয়।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউই প্রতিরোধ করতে সাহস পায়নি। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে মিরসরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী ছকিনা বেগম রবিবার সকালে বড়তাকিয়া মক্কা হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই, এই বর্বরোচিত হামলার দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
সন্ত্রাসীরা এসে আমার বাড়িঘর তছনছ করে দিয়েছে, আমার জীবন হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, যাওয়ার সময় তারা আমার ঘরের টিন, লোহার রডসহ প্রায় ১ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমি প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি—তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”