হাটহাজারীতে ইউএনও’র সহকারী পরিচয় দিয়ে স্বর্ণ আত্নসাৎ করা মো.রাসেল (৩৮) নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ৭ ভরি গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (০৯ আগস্ট) বিকালে হাটহাজারী মডেল থানা কর্তৃপক্ষ প্রতারক চক্রের সদস্য রাসেলকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রতারক চক্রের সদস্য রাসেল শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার মাতবর বাড়ির রড়কান্দি ইউ পির টি এন টি মোড় এলাকার মৃত আবদুল খালেকের পুত্র।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার কাচারী রোডস্থ এসএম দিদার মার্কেটের স্বর্ণকানন জুয়েলার্স থেকে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার রডকান্দি ইউনিয়নের মাদবর বাড়ির মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র মো.রাসেল হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহকারী (মিথ্যা) পরিচয় দিয়ে ৮ ভরি ০১ আনা ০৩ রত্তি ০৫ পয়েন্ট স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে। পরে এ ঘটনায় দোকানের মালিক ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ বনিক পাড়ার মৃত সুবাস গুপ্তের পুত্র সুজন গুপ্ত হাটহাজারী মডেল থানায় মিথ্যা পরিচয়দাতা প্রতারক রাসেলের বিরুদ্ধে ৪০৬/৪১৯/৪২০ ধারায় ঘটনার প্রায় ৭ মাস পর গত ২৯ জুলাই ২৩ ইং একটি মামলা দায়ের করেন। য়ার মামলা নং-৪৬। পরে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্যাহ বিপিএম (সেবা) এর দিক নির্দেশনায় হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোয়েব আহমেদ ও মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ও সার্বিক সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো.এমরান হোসাইন গোপন সংবাদের ভিক্তিতে উল্লেখিত স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো.এমরান হোসাইন এ প্রতিবেদককে বলেন, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক রাসেল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে আটককৃতকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।