চট্টগ্রাম 8:45 am, Thursday, 19 June 2025
বিয়ে করে পরে অস্বীকার

পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

হাটহাজারী পৌরসভার নকশাকারক (উপ-সহকারী প্রকৌশলী) মুমিনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের নাটক সাজিয়ে সংসার করে প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী।

সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তের সাথে ২০ সালের ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় এই নারীর। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুই মাস পর তা গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। তবে অভিযুক্তের বড় তিন ভাই অবিবাহিত এ অজুহাতে গোপন রাখা হয় বিয়ের সম্পর্ক। উভয় পরিবারের অগোচরে চলতে থাকে তাদের নতুন সংসার। বিয়ের প্রায় আড়াই বছরের মাথায় আসল মুখোস বেরিয়ে আসে অভিযুক্তের। একটি মোবাইল কলের সূত্র ধরে জানা যায় অভিযুক্ত পরকিয়ায় আসক্ত। প্রতিবাদ করায় শুরু হয় ভুক্তভোগীর উপর মানসিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারীর সাথে বিয়ের সম্পর্ককে অস্বীকার করে সম্পর্ক ছিন্ন করে অভিযুক্ত মুমিন। পরে আদালতে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে নগরের বাসা ও হাটহাজারীর কর্মস্থল থেকে কৌশলে আত্মগোপনে চলে যায় হাটহাজারী পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুমিনুল হক।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে অভিযুক্তের নিজ মোবাইল ফোনে রিং করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রায়হান জানান, মামলার কপি পাওয়ার পর পরই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে সীতাকুণ্ডে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

বিয়ে করে পরে অস্বীকার

পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

Update Time : 04:35:14 pm, Tuesday, 17 October 2023

হাটহাজারী পৌরসভার নকশাকারক (উপ-সহকারী প্রকৌশলী) মুমিনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের নাটক সাজিয়ে সংসার করে প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী।

সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তের সাথে ২০ সালের ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় এই নারীর। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুই মাস পর তা গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। তবে অভিযুক্তের বড় তিন ভাই অবিবাহিত এ অজুহাতে গোপন রাখা হয় বিয়ের সম্পর্ক। উভয় পরিবারের অগোচরে চলতে থাকে তাদের নতুন সংসার। বিয়ের প্রায় আড়াই বছরের মাথায় আসল মুখোস বেরিয়ে আসে অভিযুক্তের। একটি মোবাইল কলের সূত্র ধরে জানা যায় অভিযুক্ত পরকিয়ায় আসক্ত। প্রতিবাদ করায় শুরু হয় ভুক্তভোগীর উপর মানসিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারীর সাথে বিয়ের সম্পর্ককে অস্বীকার করে সম্পর্ক ছিন্ন করে অভিযুক্ত মুমিন। পরে আদালতে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে নগরের বাসা ও হাটহাজারীর কর্মস্থল থেকে কৌশলে আত্মগোপনে চলে যায় হাটহাজারী পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুমিনুল হক।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে অভিযুক্তের নিজ মোবাইল ফোনে রিং করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রায়হান জানান, মামলার কপি পাওয়ার পর পরই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।