চট্টগ্রাম 8:34 am, Saturday, 5 October 2024

রাঙ্গুনিয়ায় পানি নিষ্কাশনের জায়গায় সীমানা প্রাচীর, বন্ধ করলেন ইউএনও

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বটতল এলাকায় মো. ফরিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পানি নিষ্কাশনের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএনও। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে অভিযান চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হায় মেহেবুব। এসময় তিনি সরকারি কালভার্টের বাইরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সীমানা নির্ধারণ করে দেন।

এর আগে একই এলাকার ইউপি সদস্য ফজলুল ইসলাম সেলিম স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এই অভিযোগটি করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরিষদ থেকে বারবার কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হলেও অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি কারো কথা তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যান। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর কাজ বন্ধের আরো একটি অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি নিজের ক্ষমতার জোরে সরকারি ব্রিজের দক্ষিণ পাশে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করে নিজের কৃষি জমিতে পাকাবাড়ি ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পায়তারা করছে। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার বাসিন্দাদের চলার পথ ও বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং ব্যাপক কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে উল্লেখ করেন।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ফরিদ জায়গায়টি কেনার আগে থেকেই এখানে সরকারি কালভার্ট ছিল। এর আগে আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নালার ব্যবস্থা ছিল। এই কালভার্ট দিয়ে তিন চার এলাকার পানি এসে পুচি খালে গিয়ে পড়ে। কালভার্টের দুই পাশ দিয়ে ইতিমধ্যে পানি যেতে হিমশিম খায় এরমধ্যে একপাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে গেলে আমাদের পানির নিচে থাকতে হবে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ সৈয়দ তালুকদার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে বেশ কয়েকবার কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে এমনকি তাকে ডাকাও পাঠানো হয়েছে, কিন্তু সে আসেনি। আমাদের উল্টো “আমার জায়গায় আমি ঘর করবো এখানে মেম্বার চেয়ারম্যান এর কাজ কি বলে চিল্লাচিল্লি করেন।” পরে আমি বিষয়টি ইউএনও’কে লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব জানান, পানি নিষ্কাশনের জায়গায় ঘর ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়ার পর সরজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং কালভার্টের বাহিরে সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মিরসরাইয়ে রূপসী ঝর্ণায় ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাঙ্গুনিয়ায় পানি নিষ্কাশনের জায়গায় সীমানা প্রাচীর, বন্ধ করলেন ইউএনও

Update Time : 02:05:57 pm, Monday, 26 February 2024

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বটতল এলাকায় মো. ফরিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পানি নিষ্কাশনের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএনও। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে অভিযান চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হায় মেহেবুব। এসময় তিনি সরকারি কালভার্টের বাইরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সীমানা নির্ধারণ করে দেন।

এর আগে একই এলাকার ইউপি সদস্য ফজলুল ইসলাম সেলিম স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এই অভিযোগটি করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরিষদ থেকে বারবার কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হলেও অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি কারো কথা তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যান। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর কাজ বন্ধের আরো একটি অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি নিজের ক্ষমতার জোরে সরকারি ব্রিজের দক্ষিণ পাশে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করে নিজের কৃষি জমিতে পাকাবাড়ি ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পায়তারা করছে। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার বাসিন্দাদের চলার পথ ও বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং ব্যাপক কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে উল্লেখ করেন।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ফরিদ জায়গায়টি কেনার আগে থেকেই এখানে সরকারি কালভার্ট ছিল। এর আগে আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নালার ব্যবস্থা ছিল। এই কালভার্ট দিয়ে তিন চার এলাকার পানি এসে পুচি খালে গিয়ে পড়ে। কালভার্টের দুই পাশ দিয়ে ইতিমধ্যে পানি যেতে হিমশিম খায় এরমধ্যে একপাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে গেলে আমাদের পানির নিচে থাকতে হবে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ সৈয়দ তালুকদার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে বেশ কয়েকবার কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে এমনকি তাকে ডাকাও পাঠানো হয়েছে, কিন্তু সে আসেনি। আমাদের উল্টো “আমার জায়গায় আমি ঘর করবো এখানে মেম্বার চেয়ারম্যান এর কাজ কি বলে চিল্লাচিল্লি করেন।” পরে আমি বিষয়টি ইউএনও’কে লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব জানান, পানি নিষ্কাশনের জায়গায় ঘর ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়ার পর সরজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং কালভার্টের বাহিরে সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।