চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হাতে লাঠি নিয়ে শোডাউন করেছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আল মামুন’র নেত্রীত্বে রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নেতাকর্মীরা এই মহড়া দেন। এ সময় নেতাকর্মীরা মিছিল-স্লোগানে রাজপথ নিজেদের দখলে রাখেন। মিছিল থেকে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন তারা।
উপজেলার ১০ নং সলিমপুর থেকে শোডাউন শুরু হয়ে শেষ হয় সীতাকুণ্ড পৌরসদর বাজারে গিয়ে। এরপর সীতাকুণ্ড পৌরসদরে অবস্থা নিয়ে হরতাল ও নৈরাজ্য বিরোধী আলোচনা ও নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দিয়ে শোডাউন শেষ হয়। এর আগে উপজেলার সোনাইছড়ি, কুমিরা, বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে অবস্থারত নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা ও দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্যদেন এসএম আল মামুন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য জনাব আ ম ম দিলশাদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজাহান, উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী, ৫নং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজি, কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুরশেদ চৌধুরী, ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ, ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ সহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান ও লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেওয়ায় জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতো বিএনপি কোনো কর্মসূচি না দেওয়ায় বিশৃঙ্খল কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম আল মামুন বলেন, জামায়াত-বিএনপি যাতে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য লাঠি হাতে আমরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছি। আমরা থাকবো সন্ধ্যা পর্যন্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা আছি এবং থাকবো রাজপথে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকাকে আমরা আবারও বিজয়ী করবো।